শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

১১ মাসের ১১ দিনের ১১তম ঘণ্টায়...

প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে হতাহতদের স্মরণে কানাডায় ‘পপি ডে’ পালন

আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২২, ১০:৩০

প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের হতাহতদের স্মরণে কানাডায় ১১ নভেম্বর ‘পপি ডে’ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।  দিনটির স্মরণে কানাডার প্রাই মিনিস্টার জাস্টিন ট্টুডো স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদনের করেন।

ইত্তেফাকের কানাডা প্রতিনিধির পাঠনো সংবাদের মাধ্যমে এ তথ্য পাওয়া যায়।

তথ্য অনুযায়ী, এই দিন কানাডার প্রায় প্রত্যেকেই প্রতীক হিসেবে পপিফুলের বেইজ পরে। বাংলাদেশে মহান ভাষা দিবস একুশে ফেব্রুয়ারিতে ভাষা সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে যেমন কালো বেইজ পরা হয়, তেমনি এখানে পিফুলের বেইজ পরা হয়ে থাকে।

এছাড়া সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মনে রেখে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের পর থেকে কমনওয়েলথ দেশগুলোর সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে দিনটিকে  ‘স্মারক দিবস’হিসেবে পালন করা হয়।

১৯১৮ সালে যুদ্ধবিরতি দিন অনুযায়ী ১১ মাসের ১১তম দিনের ১১ ঘণ্টায় ১৯১৯ সালে পঞ্চম জর্জ এই ঐতিহ্যবাহী ‘মেমোরিয়াল ডে’ স্মরণীয় দিবসটি উদ্বোধন করেন। তা এখনও পালন হয়ে আসছে। আবার অনেকেই ‘মেমোরিয়াল ডে’কে ‘পপি ডে’ও বলে থাকেন। কারণ, যুদ্ধে নিহত সৈনিকদের স্মরণে রক্তলালের প্রতীক এই টুকটুকে পপি।

বিংশ শতাব্দীতে পৃথিবীর মানুষ দুটো ভয়ঙ্কর বিধ্বংসী যুদ্ধের মুখোমুখি হয়। প্রথমটি ১৯১৪ সালে শুরু হয় এবং শেষ হয় ১৯১৮ সালে। আমাদের কাছে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ হিসেবে পরিচিত সেই যুদ্ধে পৃথিবীর প্রায় সকল দেশই অক্ষ শক্তি এবং মিত্র শক্তি নামে দুই শক্তি বলয়ের হয়ে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে প্রায় বিশ মিলিয়ন মানুষ নিহত হন এবং আরও বিশ মিলিয়ন আহত হন। অধিকাংশ যুদ্ধের মতো অতি তুচ্ছ কারণেই সারা বিশ্বে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছিল।  চার বছরের যুদ্ধ থামানোর স্বাক্ষরটা হয়েছিল ১৯১৮ সালের ১১ মাস অর্থাৎ নভেম্বর মাসের ১১ তারিখের বেলা ১১টায়। তার পরের বছর অর্থাৎ ১৯১৯ সালের নভেম্বর মাসের ১১ তারিখের বেলা ১১টায় গ্রেট ব্রিটেনের সেই সময়ের রাজা পঞ্চম জর্জ বাকিংহাম প্রাসাদে যুদ্ধে নিহত ও আহতের আনুষ্ঠানিকভাবে স্মরণ করেন। সেই থেকে পৃথিবীর অনেক দেশে বিশেষ করে অধিকাংশ কমনওয়েলথ দেশে নভেম্বর মাসের ১১ তারিখের বেলা ১১টায় যুদ্ধে হতাহত যোদ্ধাদের স্মরণ করা হয়।ইত্তেফাক/আরএজে

ইত্তেফাক/আরএজে