নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঁচটি পদে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম ও অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ প্রমাণে শুরু হয়েছে তদন্ত।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. শাহেদ শাহান তদন্ত করেন।
জানা গেছে, গত ৮ আগষ্ট সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয়ের পাচটি পদে কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা হয় ডিমলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। অর্ধকোটি টাকার বিনিময়ে সেখানে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে মর্মে ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করে পরীক্ষাটি বাতিল চায় পাঁচ পরীক্ষার্থী। এরপর গত ২১ অক্টোবর লুৎফর নাহার বন্নী নামের এক পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবরে অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল বলে আরেকটি লিখিত অভিযোগ করেন।
সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গোলাম ফিরোজ চৌধুরী ও প্রধান শিক্ষক রমনী কান্ত রায় জানান, লুৎফর নাহার বন্নী নামের এক পরীক্ষার্থীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত হয়েছে।
বন্নী তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জানান, তিনি কোনো অভিযোগ করেন নাই। তার নাম ব্যবহার করে কেউ হয়তো অভিযোগ করেছে।
উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. শাহেদ শাহান বলেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। ১০ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঁচটি পদে ৬০ জন চাকুরি প্রার্থী আবেদন করেছিল। সেখানে ৫ পদে পাঁচজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।