শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আজ

আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২২, ০৭:৩০

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আজ। আয়তনে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ২ হাজার ৩০০ একরের এই ক্যাম্পাস এবার পা দিয়েছে ৫৭ বছরে।  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যে কাউকে মুগ্ধ করে। বোটানিক্যাল গার্ডেন, ঝুলন্ত ব্রিজ, ফরেস্ট্রি, চালন্দা গিরিপথ, স্লুইসগেট, ঝরনাসহ পুরো ক্যাম্পাস শিক্ষাকেন্দ্রের পাশাপাশি একটি নির্মল বিনোদন কেন্দ্র। শহর থেকে ক্যাম্পাসের দূরত্ব প্রায় ২২ কিলোমিটার। তাই শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য ১৯৮০ সালে চালু হয় শাটল ট্রেন। পৃথিবীর সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাতন্ত্র্যটা এখানেই। যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী পরিবহনের জন্য ছিল নিজস্ব ট্রেন। কিন্তু বর্তমানে তা বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ই পৃথিবীর একমাত্র শাটল ট্রেনের বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াতের মাধ্যম এই শাটল ও ডেমু ট্রেন। দেরিতে হলেও দেশের স্বাধিকার আন্দোলনের স্মৃতিকে নির্দেশ করে সগৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে ‘জয় বাংলা ভাস্কর্য’, যা চবির সৌন্দর্য আর ঐতিহ্যে যোগ করেছে নতুন মাত্রা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি- সংগৃহীত

১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর প্রতিষ্ঠা লাভের পর উপাচার্য ড. আজিজুর রহমান মল্লিকের হাত ধরে শুরু হয়ে হাঁটি হাঁটি পা পা করে এক নবযৌবনে এসে পৌঁছেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমান উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম নারী উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি- সংগৃহীত

৫৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ৫৬ বছর পার করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাব। আমার সুদক্ষ সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পথ চলতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে দায়িত্ব রাষ্ট্রপতি আমার কাঁধে দিয়েছেন, তা সৎ ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব। আর এই পথচলায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে একটি পরিবারের মতো এগিয়ে যেতে চাই।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি- সংগৃহীত

২০২২ সালে প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনলিপি অনুযায়ী বর্তমানে ২৭ হাজার ৫৫০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। চারটি বিভাগ নিয়ে শুরু করা চবিতে বর্তমান বিভাগ দাঁড়িয়েছে ৪৮টি। ৯টি অনুষদ আর ছয়টি ইনস্টিটিউটে চলছে বর্তমান প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম। আছে পাঁচটি গবেষণাকেন্দ্র। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধার জন্য রয়েছে ১৪টি হল।

ইত্তেফাক/এমএএম