টুইটারের নতুন মালিক ইলন মাস্ক বলেছেন, টুইটারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট আবার চালু করা হয়েছে। তিনি বলেন, টুইটার ব্যবহারকারীদের ওপর চালানো এক জরিপে দেখা গেছে অল্প ব্যবধানে হলেও তারা এই পদক্ষেপের পক্ষে মত দিয়েছেন।
এক টুইট বার্তায় মাস্ক বলেছেন, মানুষ তাদের মত দিয়েছেন। দেড় কোটির বেশি টুইটার ব্যবহারকারীর ৫১ দশমিক ৮ শতাংশ ট্রাম্পের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট টু্ইটার প্ল্যাটফর্মে নাও ফিরতে পারেন, কারণ এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, আমি ফেরার কোন কারণ দেখি না।
ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ২০২১ সালে স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল সহিংসতায় তিনি ইন্ধন জোগাতে পারেন এই আশঙ্কা থেকে।
উত্তর আমেরিকায় বিবিসির প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদদাতা জেমস ক্লেটন বলছেন আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাম্প যদিও বলেছেন টু্ইটারে তিনি আর ফিরতে চান না, কিন্তু তিনি জানেন টুইটারের এই জরিপটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি তার নতুন সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশালে তার অনুসারীদের প্রতি এই জরিপে অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ইতিবাচক ভোট দিন। তবে চিন্তা করবেন না। আমরা অন্য কোথাও যাচ্ছি না। ট্রুথ সোশাল আসলে স্পেশাল মাধ্যম।
ক্লেটন বলছেন তার এই বিবৃতি বিভ্রান্তিকর। তিনি যদি টু্ইটারে ফিরতে নাই চাইবেন, তাহলে তার সমর্থকদের সেখানে ভোট দেবার আহ্বান কেন জানাচ্ছেন?
তিনি বলছেন ট্রাম্পের এই দোটানার একটা কারণ হতে পারে যে, ট্রুথ সোশাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীর সংখ্যা টুইটারের তুলনায় অনেকটাই কম। অ্যাপ বিশ্লেষক সেন্সর টাওয়ারের সেপ্টেম্বর মাসে দেওয়া তথ্য উপাত্ত থেকে জানা যাচ্ছে ৯২ হাজার মানুষ ট্রুথ সোশাল অ্যাপটি ডাউনলোড করেছেন, যেখানে একই সময়ে টুইটার ডাউনলোড করেছেন প্রায় দেড় কোটি মানুষ।
এছাড়াও টুইটার সবসময়ই ট্রাম্পের প্রিয় সামাজিক মাধ্যম ছিল। এই মাধ্যম ছিল তার রাজনৈতিক কণ্ঠ। কিন্তু অন্যদিকে ট্রুথ সোশাল মি. ট্রাম্পের নিজের প্রতিষ্ঠানের তৈরি অ্যাপ। এর পেছনে তিনি অনেক অর্থ ঢেলেছেন। কাজেই, তার নিজের অ্যাপটিকে সফল ও জনপ্রিয় করার একটা তাগিদও তার রয়েছে।
ফলে, জেমস ক্লেটন বলছেন, রাজনৈতিক আর অর্থনৈতিক দুই লক্ষ্যের মধ্যে কোনটা ডোনাল্ড ট্রাম্প শেষ পর্যন্ত বেছে নেন সেটাই এখন দেখার।