শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মাতৃগাছের অভিজ্ঞতা নিয়ে কমলা চাষে সফল জয়পুরহাটের ইমরান

আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২২, ১৫:২৩

ইলেকট্রনিক্স মেকানিক হিসেবে ঢাকায় কর্মরত জয়পুরহাটের ইমরান ছোট বেলায় স্বপ্ন দেখতেন ফলবাগান করার। স্বপ্ন লালনে ঢাকার বাসায় ছাদ বাগানে নানা জাতের ফলের চাষ করেন তিনি। এক সময় মহামারি করোনার চ্যালেঞ্জর মুখে পড়ে বাড়ি ফিরে যান।

করোনায় জীবন যুদ্ধ শুরু করলেও এখন বারি-২ জাতের কমলা চাষ করে সফল হয়েছেন জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের ভিকনি গ্রামের আত্মপ্রত্যয়ী কৃষি উদ্যোক্তা ইমরান হোসেন উজ্জল।

আত্মপ্রত্যয়ী ইমরান হোসেন উজ্জল বলেন,ঢাকাতে ছাদ বাগানে তৈরি করা কমলার মাতৃগাছ থেকে নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিজের কিছু জমির সঙ্গে পাশের একটুকরা জমি পত্তন নেন। মোট জমির পরিমান ৩৩ শতাংশ। ২০২০ সালের ১৮ জুন সেখানে বারি-২ জাতের ১০০ কমলার চারা রোপন করেন। নিবিড় পরিচর্যা ও স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহায়তায় এবারই প্রথম গাছে গাছে কমলা ধরতে শুরু করে। বর্তমানে কমলাগুলো হলুদ বর্ণ ধারণ করছে।

এ কমলা বাগান করতে তার প্রায় আড়াই লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এবারের গাছে থাকা প্রথম পর্যায়ে কমলা বিক্রি করে তেমন লাভ না হলেও বাগানে তৈরি করা কমলার চারা বিক্রি হবে প্রায় আড়াই লাখ টাকা এমন আশা প্রকাশ করেন ইমরান হোসেন উজ্জল। 

ইতোমধ্যে ১৫০ টাকা কেজি দামে ২০ কেজি কমলা বিক্রি করেছেন তিনি। বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় পাইকারি কমলা ক্রেতারা জমি থেকে কমলা নিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া বাগানে থাকা আরও ছয় মণ ( ২৪০ কেজি) কমলা পাওয়ার আশা করছেন তিনি।

এদিকে, একনজর কমলা দেখার জন্য প্রতিদিন প্রতিবেশীরা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক লোকজন ভিড় করছেন।

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থেকে আসা সোহাগ হোসেন, নওগাঁর আনিসুর রহমান, রাজশাহীর সোহরাব হোসেন কমলার বাগান দেখে উদ্বুদ্ধ হওয়ার কথা জানালেন।

আক্কেলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোকসেদ আলী জানান,  শীতকাল আসলে অপেক্ষা করতে হতো বাহির দেশ থেকে কবে কমলা আসবে। এখন স্থানীয় পর্যায়ে বাণিজ্যিকভাবে কমলার চাষ হওয়ায় ভিটামিন ‘সি’ও পুষ্টির চাহিদা পুরনের পাশাপাশি  আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন এ অঞ্চলের মানুষ।

আক্কেলপুর উপজেলার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. ইমরান হোসেন জানান, বরেন্দ্র ভূমি হিসেবে খ্যাত আক্কেলপুরের গোপিনাথপুর ইউনিয়নের ভিকনি গ্রামের আত্মপ্রত্যয়ী যুবক ইমরান হোসেন কমলা চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। এখানে একটা নতুন মাত্রাও সংযোজন করেছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ফলবাগান সৃজন কর্মসূচির আওতায় কমলার চারা প্রদান, সার, কীটনাশক ও প্রশিক্ষনসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ এবং কারিগরি সহায়তা দেওয়া  হয়েছে বলেও জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।     

ইত্তেফাক/আরএজে