বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মা বলেছেন, ভারতে বাংলাদশের অসংখ্য শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছে। তাদের ভিসা প্রাপ্তিসহ সকল প্রয়োজন গুরুত্ব সহকারে দেখি। ভারত সরকার বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের বিষয়ে আন্তরিক।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) গুলশানের ওল্ড ইন্ডিয়া হাউজে ভারতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারী প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
ভারতীয় হাই কমিশনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে ভারতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারী প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন মৈত্রী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রণয় ভার্মা বলেন, 'মহামারির বিরতির পর আবারও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার জন্য ভারতে যাচ্ছে। তারা ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কে নতুন সেতু যুক্ত করেছে। তাদের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নতি ও সম্ভাবনার বিষয়গুলো সম্পর্কে ভারতীয়রা অবগত হচ্ছেন। '
তিনি আরো বলেন, 'ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিক কূটনীতিকে ছাপিয়ে দুইদেশের জনগণের সম্পর্কে পরিণত হয়েছে। দুই দেশের হৃদ্যতার সম্পর্ক উন্নত করার লক্ষে ভারত সরকার পর্যটনসহ নানা খাতে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। '
৬ ডিসেম্বর পালিত মৈত্রী দিবস দুই দেশের সহযোগিতাকে আরো দৃঢ় করেছে বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, 'আমরা ৬ ডিসেম্বর মৈত্রী দিবস পালন করি। এটি আমাদের প্রতিজ্ঞা ও প্রতিশ্রুতিকে আরো দৃঢ় করবে। বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের শেকড় মুক্তিযুদ্ধ। '
মৈত্রীর উপদেষ্টা ব্যরিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, ভারত আমাদের পরম বন্ধু, মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় যোদ্ধাদের আত্মত্যাগ অবিস্মরণীয়। আন্তর্জাতিক রীতিনীতি অনুযায়ী আমাদের স্বাধীনতার জন্য কোনো দেশের সমর্থন প্রয়োজন ছিল, ভারত সর্বপ্রথম দেশ হিসেবে আমাদের স্বাধীনতার প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করে।
পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানে আলোচনা পর্ব শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।
২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর ভারতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা মৈত্রী সংগঠন গঠন করেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত তৎকালীন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সংগঠনটির উদ্ধোধন ঘোষণা করে। দুই দেশে সংস্কৃতি, জ্ঞান ও সহযোগিতা আদান-প্রদানের পাশাপাশি সংগঠনটি নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। এরমধ্যে ইন্দো-বাংলা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, নারীবিষয়ক চলচিত্র প্রদর্শনী উইমেন মুভি মার্চ উল্লেখযোগ্য।