শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কুমিল্লার মঞ্চেও খালেদার আসন

আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২২, ১৬:৩২

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আজ শনিবার কুমিল্লা বিভাগীয় গণসমাবেশ করবে বিএনপি। সূর্যোদয়ের আগেই মিছিল নিয়ে কুমিল্লার টাউন হল প্রাঙ্গণে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে তারা সমাবেশে আসছেন। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই দখল হয়ে গেছে টাউন হল এলাকা। 

কিন্তু বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এতে অংশ নিতে পারবেন না। তবে, তাদের জন্য মঞ্চে রাখা আসন রাখা হয়েছে। দেখা গেছে, সমাবেশের মঞ্চে শীর্ষ নেতাদের আসনের সঙ্গে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবিসহ দুটি চেয়ার।  

বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বলছেন, গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়ার সঙ্গে অবিচার করছে সরকার। আজ তারা নির্যাতিত। আমাদের নেত্রী কোনো সভায় অংশ নিতে পারছেন না সরকারের কারণে। কিন্তু তাই বলে কি তারা আমাদের অন্তর থেকে উঠে যাবেন? আমার তাদের ধারণ করি।   

তারা আরও বলেন, এখন পর্যন্ত বিভাগীর প্রতিটি সমাবেশে তারা স্বশরীরে না থেকেও আমাদের সঙ্গে ছিলেন। ধারাবাহিকতা মেনে কুমিল্লার সমাবেশেও তারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন। 

বিভাগীয় সমাবেশস্থল নগরীর টাউন হল মাঠে সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করেছেন নেতা-কর্মীরা। যদিও গতকাল (শুক্রবার) রাত থেকেই সমাবেশস্থল পরিপূর্ণ হয়ে যায়। মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকালেই দেখা গেছে নতুন করে কোনো মিছিল টাউন হলে প্রবেশ করতে পারছে না। উপস্থিত নেতা-কর্মীরা যার যার অবস্থানে থেকেই স্লোগান দিচ্ছেন। কান্দিরপাড় পূবালী চত্বর, লিবার্টি মোড়, রামঘাটলায় অবস্থান নিচ্ছেন নেতা-কর্মীরা।

গণসমাবেশ উপলক্ষে টাউন হল এলাকায় ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড, পোস্টারে সয়লাব হয়ে গেছে। যে যার মতো ব্যানার, ফেস্টুন লাগিয়েছেন। দোকানপাট, ভবন ব্যানারে ছেয়ে গেছে।

পুরো টাউন হল মাঠ ছাড়াও কান্দিরপাড় এলাকায় এখন হাঁটা কঠিন। কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ এসব এলাকায় এসে জড়ো হয়েছেন। নগরের ফরিদা বিদ্যায়ন, ঈদগাহ মাঠ, জেলা স্কুল এলাকাও লোকে লোকারণ্য।

সমাবেশের জন্য নগর জুড়ে মাইক লাগানো হয়েছে। নেতা-কর্মীরা থাকবেন আশপাশের এলাকাজুড়ে। কান্দিরপাড় থেকে শাসনগাছা, টামছমব্রিজ, রানির বাজার, ফৌজদারিমোড় ও চকবাজার পর্যন্ত ব্যাপ্তি ছড়িয়ে গেছে।

ইত্তেফাক/কেকে