শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

খুনিকে নিউজিল্যান্ডে ফেরত পাঠালো দক্ষিণ কোরিয়া

আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২২, ১৮:৫২

দুইটি শিশুর লাশ কয়েকবছর ধরে একটি পণ্য রাখার স্থানে ফেলে রেখেছিলেন নিউজিল্যান্ডের এক নাগরিক। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের কাছের একটি বিমানবন্দরে নিউজিল্যান্ডের কর্তৃপক্ষের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।    ভেলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউজিল্যান্ডে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা মামলার বিচার করা হবে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার বিচার মন্ত্রণালয়। গত আগস্টে লাগেজে দুই শিশুর মরদেহ পাওয়ার ঘটনায় ৪২ বছর বয়সী এই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে ইনচেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিউজিল্যান্ডের কর্তৃপক্ষের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।  

সোমবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে ইনচেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিউজিল্যান্ডের কর্তৃপক্ষের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

গত সেপ্টেম্বরে আলসান থেকে এই নারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি নিউজিল্যান্ডের নাগরিক হলেও জন্ম দক্ষিণ কোরিয়ায়। অভিবাসন পুলিশের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে তিনি তার জন্মস্থানে ফিরে আসেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, 'আমরা আশা করছি, এই সমর্পণের মাধ্যমে গোটা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনাটি ঠিক কী ছিল তা নিউজিল্যান্ডের ন্যায্য ও কঠোর বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রকাশিত হবে।'

নিউজিল্যান্ডের অনুরোধেই ঐ নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার সমর্পণের অনুমোদন দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আদালত। স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে অবশ্য অভিযুক্ত নারী দাবি করেছেন, তিনি এই খুন করেননি। তাকে একটি পুলিশের গাড়িতে তোলার সময় এ কথা বলেন তিনি। 

নিউজিল্যান্ডের অনুরোধেই ঐ নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার সমর্পণের অনুমোদন দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আদালত।

নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড পত্রিকা জানিয়েছে, সন্দেহভাজনকে ফিরিয়ে আনতে নিউজিল্যান্ড পুলিশের তিন সদস্য দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়েছিলেন। বুধবারই (৩০ নভেম্বর) তাকে দেশটির আদালতে তোলা হবে। 

একটি পরিবার পরিত্যক্ত পণ্য ভর্তি একটি ট্রেইলার কিনলে ঘটনাটি জানাজানি হয়। সেসব পণ্যের মধ্যে থাকা লাগেজে দুই শিশুর মরদেহ পাওয়া যায়। তাদের বয়স পাঁচ ও ১০ বছর বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিউজিল্যান্ড পুলিশের ধারণা, মরদেহগুলো কয়েক বছর লাগেজের মধ্যে ছিল। সেগুলো অকল্যান্ডের একটি পণ্য রাখার স্থানে তিন-চার বছর ছিল। দক্ষিণ কোরিয়া পুলিশ ধারণা করছে, গ্রেপ্তারকৃত নারী শিশু দুটির মা। কারণ পণ্য রাখার স্থানে দেয়া ঠিকানার সঙ্গে তার নিউজিল্যান্ডের ঠিকানার মিল রয়েছে। 

ইত্তেফাক/ডিএস