অবশেষে রাজশাহীতে বিএনপির গণসমাবেশের জন্য ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ মামুন।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসনের এবিষয়ে নিশ্চিত করে এবং আগামী ৩ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় এ গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
নেতা মামুনুর রশিদ বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে তাদের জানানো হয়েছে ১ ডিসেম্বর থেকে তারা গণসমাবেশের জন্য মাদ্রাসা মাঠ ব্যবহার করতে পারবেন। এর আগে তারা ওই মাঠ বা তার আশপাশের এলাকায় কোনো কার্যক্রম চালাতে পারবেন না।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, হাজী মুহম্মদ মহসীন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে এখনো পরীক্ষা চলছে। তিনি ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিরও সভাপতি। পরীক্ষা চলাকালে তিনি ওই মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারেন না। এ জন্য পরীক্ষা শেষ হলে ১ ডিসেম্বর থেকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। তাছাড়া বিএনপি শুধু ৩ ডিসেম্বর মাঠ ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে।
এদিকে, সমাবেশের আগেই দূরদূরান্ত থেকে আসা নেতাকর্মীদের বিশ্রাম ও রাতযাপনের জন্য মাঠের পাশে একটি জায়গায় সোমবার (২৮ নভেম্বর) থেকে প্যান্ডেল তৈরি করা হয়। তবে মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) পুলিশ সেটি ভেঙে দেয়। বিএনপির গণসমাবেশের জন্য চাওয়া মাঠের পাশে নির্মাণাধীন এই প্যান্ডেলে চার-পাঁচ হাজার নেতাকর্মীর থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছিল।
মামুনুর রশিদ জানান, গত অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে বিএনপির পক্ষ থেকে রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশের জন্য মাঠ চেয়ে আবেদন করা হয়। তারা রাজশাহী নগরীর মাদ্রাসা মাঠে গণসমাবেশের জন্য আবেদন করেন। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহী জেলা প্রশাসক ১ ডিসেম্বর থেকে তাদের মাঠ ব্যবহার অনুমতি দেন। তবে সমাবেশ ও মাইক ব্যবহারের জন্য রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনারের অনুমতি এখনো মেলেনি। তবে আশ্বাস পেয়েছেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের রাতযাপনের জন্য সমাবেশের মাঠেই একটি প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ শুরু করে হয়েছিল। মাঠের অনুমতি ছিল না বলে সোমবার ওই প্যান্ডেলের কাজ বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এরপর মাঠের পাশে আরেকটি প্যান্ডেল নির্মাণ শুরু করলে সেখানে অনুমতি নেই, জানিয়ে সেটিও মঙ্গলবার ভেঙে দেয়া হয়।
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান বলেন, তারা (বিএনপি) যে মাঠের অনুমতি নিয়েছে, তাদের যা করার সেখানেই করতে হবে। অনুমোদিত জায়গার বাইরে তারা কিছু করতে পারবেন না।
মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রফিকুল আলম বলেন, মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিবে জেলা প্রশাসক। আর পুলিশ অনুমতি দিবে সমাবেশ ও মাইক ব্যবহারের। আমরা এখনো অনুমতি দেয়নি। সেটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।