রাজশাহীর বাঘায় স্বামী-স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৩০ নভেম্বর) সকালে খবর পেয়ে উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের অমরপুর বিলপাড়া গ্রাম থেকে এই জোড়া লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দুটি রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই দম্পতির নাম নাজিম উদ্দিন (৭৫) ও আম্বেয়া বেগম (৬৫)।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের অমরপুর বিলপাড়া গ্রামের নাজিম উদ্দিন ও তার স্ত্রী আম্বেয়া বেগম মঙ্গলবার রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। প্রতিদিন তারা সকালে ঘুম থেকে ওঠেন। কিন্তু বুধবার সকাল ৭টা পর্যন্ত তাদের কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে পাশের বাড়ির নেপাল শেখ নামের এক বৃদ্ধ ওই বাড়িতে পান খাওয়ার জন্য যান। এরপর তিনি লক্ষ্য করেন আম্বেয়া বারান্দায় চৌকির ওপর চটের বস্তা গায়ে এবং নাজিম উদ্দিন বারান্দায় চৌকির নিচে চাদর গায়ে জড়িয়ে শুয়ে আছেন। তখন তিনি স্থানীয় লোকজকে ডাকলে প্রতিবেশীরা দিয়ে দেখেন উভয়েই মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। পরে লোকজন বাঘা থানা পুলিশকে খবর দেয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, নাজিম-আম্বেয়া দম্পতির নাতি ইমন হোসেনের স্ত্রী খাদিজা খাতুন সাগরী গত ১৫ নভেম্বর স্বামীর সাথে ঝগড়া-বিবাদের এক পর্যায়ে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনার সাগরীর বাবা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করায় ইমন পলাতক রয়েছেন। এ নিয়ে নাজিম দম্পতি দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন।
এ বিষয়ে বাঘা থানার উপ-পরিদর্শক দুরুল হুদা বলেন, এই দম্পতির নাতির স্ত্রী গত ১৫ নভেম্বর আত্মহত্যা করেন। এছাড়া ৩ বছর আগে নাজিম-আম্বেয়ার বড় ছেলে কামরুজ্জামান আত্মহত্যা করেন। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে, তারা মানষিক চাপে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারেন।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আব্দুল করিম জানান, মৃত দম্পতির শরীরে কোনো আঘাতে চিহ্ন নেই। তাদের মুখে কিছুটা ফেনা দেখা গেলেও পাশে বিষের কোনো বোতল খুঁজে পাওয়া যায়নি। মৃত্যুটাকে রহস্যজনক বলে মনে করছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।