রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরীঘাট পয়েন্টের নৌপথে নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে। নদীর পানি কমে তলদেশে পলি জমে নৌ-চ্যানেলের বিভিন্ন পয়েন্টে ছোট-বড় অনেক ডুবোচর জেগে উঠছে। প্রয়োজনীয় পানির গভীরতা না থাকায় সেখানে স্বাভাবিক ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
নৌপথের নির্দিষ্ট চ্যানেল ছেড়ে ফেরিগুলোকে দুই কিলোমিটার ভাটিপথ ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে ফেরি পারাপারে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় লাগছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নৌপথে একাধিক ড্রেজার দিয়ে খননকাজ চালাচ্ছে বিআইডাব্লিউটিএ।
বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বর্ষায় উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পলি জমে চ্যানেলের দীর্ঘ অংশ অনেকটা ভরাট ও সরু হয়ে গেছে। বর্ষার শেষে নদীতে পানি কমে নৌ-চ্যানেলের বিভিন্ন পয়েন্টে এখন ছোট-বড় অনেক ডুবোচর জেগে উঠছে। পাশাপাশি পানির গভীরতা কমে সেখানে নাব্য সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
প্রতিটি রো রো ফেরি (বড়) লাচলের জন্য কমপক্ষে আট ফুট পানির গভীরতা প্রয়োজন হয়। বর্তমানে পানি কমে গিয়ে এই নৌ-চ্যানেলের বিভিন্ন পয়েন্টে ডুবোচর জেগে পানির গভীরতা কমে নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে।
বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. খোরশেদ আলম জানান, ডুবোচরের পাশাপাশি নাব্য সংকটের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে এই নৌপথের নির্দিষ্ট চ্যানেল ছেড়ে দুই কিলোমিটার ভাটিপথে গোয়ালন্দ উপজেলার চর কর্নেশণ আর মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার নয়াকান্দি এলাকা ঘুরে চলাচল করছে ফেরি।
বিআইডাব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আক্কাছ আলী জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে নৌ-চ্যানেলের বিভিন্ন পয়েন্টে একাধিক ড্রেজার দিয়ে দ্রুত খননকাজ চলছে।