শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত

আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০২২, ০৬:৩১

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাট পয়েন্টের নৌপথে নাব্যসংকট দেখা দিয়েছে। চ্যানেলের বিভিন্ন পয়েন্টে ছোট-বড় অনেক ডুবোচর জেগে উঠছে। পানির প্রয়োজনীয় গভীরতা না থাকায় সেখানে স্বাভাবিক ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

নৌপথের নির্দিষ্ট চ্যানেল ছেড়ে ফেরিগুলোকে দুই কিলোমিটার ভাটিপথ ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে ফেরি পারাপারে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগছে। এদিকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় নৌপথে একাধিক ড্রেজার দিয়ে খননকাজ চালাচ্ছে বিআইডব্লিউটিএ।

বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বর্ষায় উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পলি জমে চ্যানেলের দীর্ঘ অংশ অনেকটা ভরাট ও সরু হয়ে গেছে। বর্ষার শেষে নদীতে পানি কমে নৌচ্যানেলের বিভিন্ন পয়েন্টে এখন ছোট-বড় অনেক ডুবোচর জেগে উঠছে। পাশাপাশি পানির গভীরতা কমে গিয়ে সেখানে নাব্যসংকট তৈরি হয়েছে। প্রতিটি রো রো (বড়) ফেরি চলাচলের জন্য কমপক্ষে আট ফুট গভীরতা প্রয়োজন হয়। বর্তমানে পানি কমে গিয়ে এই নৌচ্যানেলের বিভিন্ন পয়েন্টে ডুবোচর জেগে উঠেছে। নাব্যসংকটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

ট্রাকচালক ফারুক মোল্লা জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকেই এই রুটে যানবাহনের চাপ অনেকটা কমে গেছে। ঘাটে আসলে দ্রুত ফেরি পাওয়া যায়। বলা যেতে পারে ঘাটে এসেই আমরা ফেরিতে উঠে পড়ি। আগে যেটি অকল্পনীয় ছিল। কিন্তু গত এক মাস ধরে নদীতে পানি কমে যাওয়ায় নাব্যসংকট দেখা দিয়েছে। এতে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ঘাটে ফেরির জন্য আমাদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। এছাড়া ফেরি কম থাকায় এ রুটে চলাচলকারী চালক ও সহকারীদের প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. খোরশেদ আলম জানান, ডুবোচরের পাশাপাশি নাব্যসংকটের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে এই নৌপথের নির্দিষ্ট চ্যানেল ছেড়ে দুই কিলোমিটার ভাটিপথে গোয়ালন্দ উপজেলার চর কর্নেশন আর মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার নয়াকান্দি এলাকা ঘুরে চলাচল করছে ফেরি। বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আক্কাছ আলী জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে নৌচ্যানেলের বিভিন্ন পয়েন্টে একাধিক ড্রেজার দিয়ে দ্রুত খননকাজ চলছে।

 

ইত্তেফাক/ইআ