যশোরের অভয়নগরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃদ্ধ বাবা-মাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর হামলাকারী ছেলে মফিজুর রহমান (৫৮) এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। আহত দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভয়নগর থানার ওসি শামীম হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলেন লক্ষীপুর গ্রামের মৃত রহমান সরদারের ছেলে বারেক সরদার (৮৩) ও তার স্ত্রী আছিয়া বেগম (৬৮)।
বৃদ্ধ বারেক সরদার জানান, জমিজমা ও বৈদ্যুতিক মিটার বসানোকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বড় ছেলে মফিজুরের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে মফিজুর ক্ষিপ্ত হয়ে একটি বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মাথায় আঘাত করে। এ সময় মফিজুরের মা এগিয়ে আসলে তাকেও দা দিয়ে মাথায় কুপিয়ে আহত করে। দুজনের আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে সে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
আহত বারেক সরদারের ছোট ছেলে আজিজুর রহমান জানান, বাবা-মাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যাওয়ার সময় বড়ভাইকে (মফিজুর) ধরতে গেলে সে আমাকেও পিটিয়ে আহত করে চলে যায়। পরে অভয়নগর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়।
অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. শোভন বিশ্বাস জানান, মাথায় ও শরীরে আঘাতপ্রাপ্ত বৃদ্ধ বাবা-মাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উভয়ের মাথায় সেলাই দিতে হয়েছে। তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ছেলে মফিজুরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে এলাকায় খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে বার বার চেষ্টা করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
অভয়নগর থানার ওসি শামীম হাসান বলেন, বৃদ্ধ বাবা-মায়ের উপর হামলাকারী পাষণ্ড ছেলে মফিজুর রহমানকে পুলিশ খুঁজছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।