জার্মানিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সন্দেহভাজনদের ধরতে দেশজুড়ে অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযানে ইতোমধ্যে ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ডয়চে ভেলে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জার্মানির ১৬টি রাজ্যের ১১টিতে অভিযান চালানো হয়৷ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র হামলার পরিকল্পনা করা সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে৷ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা ‘রাইশব্যুর্গার আন্দোলনের' সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে জানিয়েছেন বিচারমন্ত্রী মার্কো বুশমান৷
দেশটির কর্তৃপক্ষ বলছে, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা ‘একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত, যেটি ২০২১ সালের নভেম্বরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে'৷
‘রাইশব্যুর্গার আন্দোলন'-এর সঙ্গে কয়েকটি ছোট সংগঠন ও ব্যক্তি জড়িত৷ সাধারণত ব্রান্ডেনবুর্গ, মেকলেনবুর্গ-ফোরপোমান ও বাভারিয়া রাজ্যে তারা সক্রিয়৷
জার্মান ‘রাইশ' শব্দের অর্থ সাম্রাজ্য, আর ‘ব্যুর্গার' মানে হচ্ছে নাগরিক৷ রাইশব্যুর্গাররা নিজেদের জার্মান সাম্রাজ্যের নাগরিক বলে দাবি করেন৷ আধুনিক জার্মানিকে নিজেদের রাষ্ট্র বলে মানতে রাজি নন তারা৷
তাদের দাবি, ১৯৩৭ বা ১৮৭১ সালের জার্মান সাম্রাজ্যের সীমানাই আসল জার্মানি৷ বর্তমান জার্মানির সরকার, পার্লামেন্ট, বিচারব্যবস্থা এবং নিরাপত্তাবাহিনীকেও তারা মিত্রশক্তির নিয়ন্ত্রণে থাকা পুতুল বলে মনে করেন৷
রাইশব্যুর্গাররা ট্যাক্স বা জরিমানা দিতে চান না৷ নিজেদের বাড়ি-ঘর, সম্পদ ইত্যাদিকে জার্মান প্রজাতন্ত্রের অধীনে নয়, বরং স্বাধীন বলে বিবেচনা করেন৷ তারা জার্মান সংবিধান ও আইন স্বীকার করেন না, কিন্তু সেই আইন ব্যবহার করেই সরকার ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অজস্র মামলা করেন৷ তাদের অধিকাংশই নিজেদের তৈরি পাসপোর্ট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করেন৷