বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মধ্যরাতে মাইকে ডাকাত আতঙ্ক, পুলিশ বলছে গুজব 

আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ২২:৪০

বরিশালে বিভিন্ন এলাকায় মধ্যরাতে একযোগে মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়ার ঘোষণা দিয়ে সকলকে সতর্ক থাকার আহবান জানানো হয়েছে। এতে করে নগরী ও জেলাজুড়ে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। নগরীর অনেক এলাকার মানুষ আতঙ্কে রাস্তায় নেমে যায় লাঠেসোটা নিয়ে। এ সময় আতঙ্কিত মানুষের ডাক চিৎকারের শব্দ শোনা যায়। এদিকে পুলিশ বলছে বিষয়টি গুজব। 

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১২টা থেকে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) ভোর রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ঘোষনা দেওয়া হয়। 

ভাটিখানা এলাকার বাসিন্দা মাঈনুল হাসান বলেন, মসজিদের মাইক থেকে রাত ২টার দিকে এলাকায় ডাকাত প্রবেশ করার খবর প্রচার করা হয়। মুহূর্তের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। কিছুক্ষণ পরে আশেপাশের মসজিদের মাইক থেকেও একই ঘোষণা দেওয়া হয়। 

আমানতগঞ্জ এলাকার আরেক বাসিন্দা বলেন, রাত দুইটার দিকে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয় অনেক ডাকাত এলাকায় প্রবেশ করেছে, সকলে সতর্ক থাকুন। এ ঘোষণার ফলে এলাকায় হইচই পড়ে যায়। আর আমাদের বরিশালে এমন খবর তো এই প্রথম শুনলাম। 

এছাড়াও নগরীর নতুন বাজার, কাউনিয়া, মহাবাজ, কালুশাহ সড়ক, আলেকান্দা, কাশিপুর, বাবুগঞ্জ এলাকার চাঁদপাশা, দেহেরগতি, সদর উপজেলার রায়পাশা কড়াপুরসহ নগরীর সকল এলাকার মসজিদ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। 

তবে এই ঘোষণার শুরু হয় বাবুগঞ্জের দেরেগতি থেকে। হঠাৎ মসজিদের মাইকে এমন ডাকাতির ঘোষনায় আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাহায্য চাওয়াসহ খোঁজ খবর নিচ্ছেন তারা। তবে হঠাৎ কেনো এমন মাইকিং করা হলো তা বুঝতে পারছে না তারা। 

মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্তি পুলিশ উপ-কমিশনার ফজলুল করিম বলেন, সম্ভবত গুজব ছড়ানো হয়েছে। প্রতিটি এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। গুজব থেকে সকলে সতর্ক থাকুন। 

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সোহেল মারুফ বলেন, জেলা পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা মোড়ে মোড়ে টহল দিচ্ছে। মাইকিং সম্পর্কে পুলিশের কাছে পরিস্কার মেসেজ নেই। তবে মাইকিং হচ্ছে বলে তারা জানিয়েছেন। মাইকিংয়ের বিষয়টি পরিকল্পিত হতে পারে। 

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, মধ্যরাতে মসজিদের মাইকে ডাকাত পরার যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে তার কোনো ভিত্তি নেই। মানুষের মধ্যে আতঙ্গ ছড়াতে একটি চক্র এ গুজব রটিয়েছে। এতে কান দিয়ে নগরবাসী যেন আতঙ্কিত না হয়। আমরা বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। কেন বা কারা এই গুজব ছড়িয়েছে। যারা এই গুজব ছড়িয়েছে তাদের চিহ্নিত করার জন্য পুলিশ কাজ করছে। পাশাপাশি নগরীতে রাতে পুলিশ টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।

ইত্তেফাক/পিও