সৌদি আরব ও চীন একাধিক কৌশলগত চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে গভীর সম্পর্কের ইঙ্গিত দিয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সৌদি আরব সফরের সময় এসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ শি'র সঙ্গে একটি 'বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি' স্বাক্ষর করেছেন। এসব চুক্তির মধ্যে প্রধান প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়ের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে হুয়াওয়ের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মার্কিন নিরাপত্তা উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, চীন ও সৌদি কোম্পানি জলবায়ু-বান্ধব শক্তি (সবুজ শক্তি), তথ্য প্রযুক্তি, ক্লাউড পরিষেবা, পরিবহন, নির্মাণ ও অন্যান্য খাতে বিনিয়োগের জন্য ৩৪টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
এসপিএর প্রতিবেদনে বিনিয়োগের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু এর আগে তারা জানিয়েছিল, শি'র সফরের সময় ৩০ বিলিয়ন মূল্যের প্রাথমিক বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।
সৌদি আরব বুধবার (৭ ডিসেম্বর) চীনের প্রেসিডেন্টকে রাজকীয় স্বাগত জানিয়েছে। চীন ও সৌদি আরবের জাতীয় পতাকা বহনকারী সৌদি রয়্যাল গার্ডের অশ্বারোহী সদস্যরা শি'র গাড়িটিকে রিয়াদের রাজপ্রাসাদে নিয়ে যায়।
সৌদি আরবের আসল শাসক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান রাজপ্রাসাদে হাসিমুখে শি কে স্বাগত জানান। পরে শি এক রাজকীয় ভোজসভায় যোগ দেন।
সৌদি আরবের গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক উপসম্পাদকীয়তে শি জানান, আরব বিশ্ব, উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্র ও সৌদি আরবের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের নতুন যুগের সূচনা করতে তিনি সেখানে এই সফরে এসেছেন। চীন ও আরব দেশগুলো 'অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি' বজায় রাখবে।
চীনের গণমাধ্যম সিসিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুবরাজ মোহাম্মদের মন্তব্যেও একই অনুভূতি প্রতিফলিত হয়েছে। তার দেশ মানবাধিকারের নামে চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে।
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) আরেকটি বিস্তৃত বৈঠকে শি'র অন্যান্য আরব নেতা ও উপসাগরীয় তেল উৎপাদনকারীদের সঙ্গে বসার কথা রয়েছে।