বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশপথে আজও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। নানা স্থানে চেক করে তবেই ঢাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। পথগুলোয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারি লক্ষ্য করা গেছে।
চলমান এই অবস্থায় রাজধানীর বাস টার্মিনালে পর্যাপ্ত যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। যাত্রী সংকটে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে না আসার চিত্রও দেখা গেছে।
রাজধানীর প্রবেশপথ কাঁচপুর, শনির আখড়া, পোস্তগোলা ব্রিজ, গাবতলী-আমিনবাজার ও আব্দুল্লাহপুর এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী।
এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড, মৌচাক, মদনপুর, মেঘনা টোল প্লাজার সামনে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। আশুলিয়ারসহ কয়েকটি স্থানেও বসেছে চেকপোস্ট।
এসব চেকপোস্টে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য তাদের তল্লাশি কার্যক্রম চালাচ্ছে। বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে চালক ও যাত্রীদের নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন পুলিশ সদস্যরা।
যাত্রীদের কাছে ঢাকায় আসার কারণ জানতে চাওয়া হচ্ছে। যাদের সন্দেহজনক মনে হচ্ছে, তাদের আরও অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
একজন বাসযাত্রী জানান, বাসে থাকা কয়েকজন যাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। চালকের নাম্বার ও গাড়ির নাম্বার নোট করে নিয়েছে।
ডিএমপির ডেমরা জোনের পেট্রোল ইন্সপেক্টর নুরুল ইসলাম মল্লিক গণমাধ্যমকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সবসময় প্রস্তুত রয়েছে। দেশের মানুষকে ভালো রাখতে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ। এ মহাসড়কে পুলিশের অনেকগুলো চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
দারুস সালাম থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, যেকোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে আমাদের এ কার্যক্রম চলছে।
আব্দুল্লাহপুরে চেকেপোস্টে দায়িত্বে থাকা ডিএমপির উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (অপরাধ) বদরুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, রাজধানীবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশ সদস্যরা। মানুষকে হয়রানি করা নয়, বরং নিরাপত্তার স্বার্থে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ।