রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির গণসমাবেশ শুরু হয়েছে। এ সমাবেশ ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের পাশাপাশি সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা।
একদিন আগে থেকেই বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে শহরের অলি-গলি, মোড়ে মোড়ে অবস্থান করতে দেখা গেছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) একই চিত্র দেখা গেছে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে।
পাশাপাশি দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা সকাল থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় এবং ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে অবস্থান করছেন।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, প্রতিটি ইউনিট, ওয়ার্ড, থানা এবং স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যুবলীগ-ছাত্রলীগসহ সব সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের প্রতিও একই নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়া ঢাকার বাইরেও নেতকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী বিভিন্ন স্থানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন তারা।
তারা বলছেন, বিজয়ের মাসে ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের কাছে আওয়ামী লীগ পরাজিত হতে পারে না। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি, আমরা সহাবস্থানে বিশ্বাস করি।
অপরদিকে, আজ বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি ডিবি, সোয়াত টিম, বোম ডিসপোজাল টিমও মাঠে থাকবে। রাজধানীতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাব। যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা, নাশকতা রোধ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
এছাড়া যে কোনো উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র্যাবের ১১২টি মোবাইল টিম, ডগ স্কোয়াড, বোম ডিসপোজাল ইউনিট ও র্যাবের হেলিকপ্টার সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে। র্যাবের হেলিকপ্টার আজ টহল দেবে রাজধানীর আকাশে।
র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন জানান, বিএনপির আজকের সমাবেশকে ঘিরে রাজধানীতে আজ র্যাবের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোনো ধরনের সহিংস ঘটনা ঘটতে দেওয়া হবে না।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার গোলাম ফারুক বলেন, আজ সম্ভাব্য যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা মোকাবিলায় যা লাগবে তাই প্রস্তুত থাকবে। আমরা পুরো ঢাকা শহর নিরাপত্তা বেস্টনিতে রেখেছি। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটতে দেওয়া হবে না।