বিএনপির ঢাকার গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে সড়ক ও মহাসড়কসহ ১৪ পয়েন্টে তল্লাশি চৌকি স্থাপন করেছে জেলা ও হাইওয়ে পুলিশ। নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে ঠেকাতে অতিরিক্ত ৮০০ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানায় জেলা পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) চাই লাউ মারমা বলেন, বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে জেলা পুলিশের ১১ তল্লাশি চৌকি স্থাপন করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড, মৌচাক, কাঁচপুর, মদনপুর, ৩০০ ফুট এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত এসব তল্লাশি চৌকিতে বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) থেকে কার্যক্রম চলছে।
তিনি জানান, সমাবেশকে কেন্দ্র করে যানবাহনে কেউ বিস্ফোরক দ্রব্য বহন করছেন কি-না সেসব দেখা হচ্ছে। যাত্রীদের যাতে হয়রানি না হয় সে বিষয়ে পুলিশ তৎপর আছে। এছাড়া অতিরিক্ত ৮০০ পুলিশ সদস্য টহলে রয়েছেন।
এছাড়া কাঁচপুর হাইওয়ে থানা, ভুলতা ও শিমরাইল পুলিশ ক্যাম্প তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে। সোনারগাঁ থানার কাঁচপুর সেতুর পূর্বপাশ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার শিমরাইল মোড় ও রূপগঞ্জ থানার গোলাকান্দাইলে কাঞ্চন রোডেও হাইওয়ে পুলিশের তিনটি তল্লাশি চৌকি রয়েছে।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি আবুল কাশেম আজাদ বলেন, কাঁচপুর সেতুর পাশে ঢাকামুখী লেনে তল্লাশি চৌকি স্থাপন করা হয়েছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে যানবাহনে কেউ বিস্ফোরক দ্রব্য বহন করছেন কি-না তা তল্লাশি করে দেখা হচ্ছে।”
একই কথা জানান ভুলতা ক্যাম্পের পরিদর্শক ওমর ফারুক এবং শিমরাইল ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. শরফুদ্দিন।
এদিকে একাধিক স্থানে তল্লাশি চৌকিতে যান থামানোয় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। তারা বলেন, নিরাপত্তজনিত কারণে পুলিশ তল্লাশি চালাতেই পারে। কিন্তু কোনো সমাবেশকে কেন্দ্র করে এভাবে তল্লাশি চালিয়ে যাত্রীদের হয়রানি করা ঠিক হচ্ছে না।
সরেজমিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের মৌচাক, সাইনবোর্ড ও কাঁচপুর সেতুর ঢালে পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকামুখী যাত্রীবাহী বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল থামিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। যাত্রীদের ব্যাগ ও শরীর তল্লাশি করা হচ্ছে। কী উদ্দেশে বাসা থেকে বেরিয়েছেন তা যাত্রীদের কাছে জানতে চাইছেন পুলিশ সদস্যরা।
অপরদিকে, বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে তাদের জেলা ও থানা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থলে চলে গেছে। শহরে যানবাহন সন্ধ্যার পর থেকে খুব একটা চলাচল করছে না।