সৌদি আরবের রিয়াদস্থ ভারতীয় দূতাবাস আয়োজিত ‘Ambassadors Choice: International Film Festival’ এ বাংলাদশের চলচ্চিত্র ‘হাসিনাঃ এ ডটার’স টেল’ প্রদর্শিত হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনীতে যোগ দেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, বিভিন্ন দেশের নাগরিক ও বাংলাদেশ কমিউনিটির অভিবাসীরা।
চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে জাতির পিতার সংগ্রামী জীবন, তাঁর ত্যাগ, দেশের প্রতি ভালোবাসার কথা উপস্থিত দর্শকদের হৃদয় নাড়িয়ে দেয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানার কাছে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা, জাতির পিতার কথা শুনতে পেরে দর্শক অভিভূত হয়ে পড়েন। চলচ্চিত্রটিতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা ও পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যদের নিহত হবার সময়ের বর্ণনা শুনে অনেকের চোখ ভিজে উঠে।
সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘হাসিনাঃ এ ডটার’স টেল’ চলচ্চিত্রটিতে বাংলাদেশের জন্ম, ইতিহাস, দেশের প্রতি জাতির পিতার অসামান্য অবদান, তাঁর ত্যাগ, ভালোবাসা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংগ্রামী জীবন, মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের নানান গুরুত্বপূর্ণ সময়ের বিবরণ উঠে এসেছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, এ চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশের প্রতি অবদান, জাতির পিতার কন্যা হিসেবে তাঁর স্বপ্নপূরণের প্রচেষ্টা, ১৯৭৫ সালের কালরাতের খুনিদের বিচারের মুখোমুখি করার যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা সব কিছুই দেখতে পেয়েছি। বিদেশিদের কাছে ও প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশিদের কাছে এ চলচ্চিত্রটির প্রদর্শন অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি জানান।
চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনীর শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন দূতাবাসের প্রথম সচিব (প্রেস) মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম। তিনি এ সময় চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজক ভারতীয় দূতাবাসকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান ও ‘হাসিনাঃ এ ডটার’স টেল’ সম্পর্কে ভূমিকা দেন। ২৪ নভেম্বর শুরু হওয়া এ উৎসবে বিভিন্ন দেশের ১৫টি চলচ্চিত্র অংশ নেয়।
প্রদর্শনীতে যোগ দেয়া বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে তাঁদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তাঁরা বাংলাদেশের ইতিহাস, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন সম্পর্কে আরও জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তাঁরা বলেন, বাংলাদেশের কিছু ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের ধারণা ছিল কিন্তু এ চলচ্চিত্রটি দেখার পর অনেক কিছু বিস্তারিত জানতে পেরেছি। বিদেশিরা অনেকেই বাংলাদেশ দূতাবাসে এসে পরবর্তীতে বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে আরও জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনীতে রিয়াদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতা, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, ব্যবসায়ী, স্কুল শিক্ষক, সাহিত্যিক, মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ও এতে যোগ দেন। উপস্থিত দর্শকরা এ চলচ্চিত্রটি দেখার সুযোগ পেয়ে দূতাবাসকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
এ চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অসামান্য দলিল হিসেবে স্থান পেয়েছে বলে তাঁরা মতপ্রকাশ করেন।