সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে। বিজয় দিবসের সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দূতাবাস মিলনাতয়নে দুই পর্বের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সকালের অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বাণী পাঠ ও বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। সন্ধ্যায় আলোচনা শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সভায় বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সাফল্য ও সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। তারা বাংলাদেশের ইতিবাচক বিষয়গুলো তুলে ধরার পাশাপাশি নেতিবাচক প্রচারণা মোকাবেলায় প্রবাসীদের ভূমিকা জোরদার করার ওপর আলোকপাত করেন।
জেনেভায় নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি সুফিউর রহমান বলেন, স্বাধীনতার পাঁচ দশকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিযার যে কোনো প্রতিবেশী দেশের চেয়ে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকে অধিকতর সাফল্য অর্জন করেছে, যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দৃশ্যমান।
উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি মিস সঞ্চিতা হক বলেন, নিকট ভবিষ্যতে উন্নয়নশীল দেশর কাতারে উত্তরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক কারণেও বাংলাদেশকে বেশকিছু অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে এবং সেজন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
এ সময় তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে স্নায়ুযুদ্ধকালীন পরিস্থিতি ও তার প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের নিস্ক্রিয় ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জমাদার নজরুল ইসলাম বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশের উন্নয়ন ইতিবাচক বিষয়গুলো তুলে ধরার পাশাপাশি নেতিবাচক প্রচারণা মোকাবেলায় প্রবাসীদের ভূমিকা জোরদার করার দাবি জানান।
সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান বলেন, দেশের খেয়ে দেশের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা ভোগ করেও যে সমস্ত মোস্তাকের প্রেতাত্মারা লবিস্ট নিয়োগ করে বিদেশি প্রভুদের কাছে নিজের দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের কঠোর হস্তে দমন করার দাবি জানাই।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিশেষজ্ঞ ও সাংবাদিক ব্লগার অমি রহমান পিয়াল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুম খান দুলাল, উপদেষ্টা আব্দুর রবসহ কমিউনিটি ব্যক্তিবর্গ।