ঝিনাইদহে পাঁচ টাকার কয়েন ও নোটের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে ক্ষুদ্র লেনদেনে সমস্যা হচ্ছে। জেলায় গত দুই বছর ধরে এ সমস্যা হচ্ছে। জানা যায়, ব্যাংকগুলোর মধ্যে একমাত্র সোনালী ব্যাংক কয়েন ও নোট সরবরাহ করে।
ব্যাংক ও ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা যায়, চার-পাঁচ বছর আগে ব্যবসায়ীদের কাছে প্রচুর পাঁচ টাকার কয়েন জমা পড়ত। তারা মজুত কয়েন নিয়ে সমস্যায় পড়তেন। তখন কয়েন নিতে চাইত না গ্রাহকরা।
গাড়াগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের মুদি ব্যবসায়ী রাকিবুল ইসলাম জানান, একসময় তার কাছে প্রায় ৩ লাখ টাকার পাঁচ টাকার কয়েন জমা পড়েছিল। এ কয়েন বস্তায় ভরে রাখতে হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি উলটে গেছে। পাঁচ টাকার কয়েন ও নোটের অভাব দেখা দিয়েছে বলে জানান তিনি।
ঝিনাইদহ শহরের ইজিবাইকচালক সবুজ হোসেন জানান, পাঁচ টাকার কয়েন ও নোটের অভাব দেখা দিয়েছে। অনেক সময় যাত্রীরা জানতে চান পাঁচ টাকার ভাংতি আছে কি না।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সোনালী ব্যাংক প্রধান শাখার ব্যবস্থাপক মো. জাকির হোসেন জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাঁচ টাকার নোট সরবরাহ করা হচ্ছে না। এ বছরের ৯ এপ্রিল ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার পাঁচ টাকার কয়েন এনে বাজারে ছাড়া হয়। কিন্তু কয়েন কেউ ব্যাংকে জমা দিচ্ছে না। আবারও পাঁচ টাকার কয়েনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে ইনডেন্ট দেবেন বলে জানান তিনি।