চীন ও ভারতসহ যেসব দেশের সন্দেহভাজন যাত্রী বাংলাদেশে আসবে তাঁদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়েছে করোনার নতুন উপকরণ বিএফ-৭। এমতাবস্থায় বিদেশ থেকে আসা সন্দেহভাজন যাত্রীদের স্ক্রিনিং জোরদার করা হয়েছে। যেসব দেশ থেকে সন্দেহজনক যাত্রী পাওয়া যাবে তাঁদের নিজ খরচে সেলফ (নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়) কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে। এ জন্য শিগগিরই সংশ্লিষ্ট হোটেলগুলো নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।
চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রস্তুতি আছে জানিয়ে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, ‘করোনার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে মহাখালীর কোভিড হাসপাতালে চীনের চার নাগরিকদের চিকিৎসা ও আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।’
এর আগে গতকাল সোমবার চীন থেকে আসা ১০৫ নাগরিকের মধ্যে চারজনের করোনা শনাক্ত হয়। বাকিরা বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে যাওয়ায় শনাক্ত কঠিন বলছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
এদিকে, নতুন ধরনে আক্রান্ত সন্দেহে আইসোলেশনে থাকা চার চীনা নাগরিকের নমুনা এখন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে। ফলাফল পেতে আরও এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।