দেশে বসেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের মানুষদের ছবি এঁকে দিচ্ছেন বাংলাদেশের তিন তরুণ। এর মাধ্যমে প্রতিমাসে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার রেমিটেন্স দেশে আনছেন তারা।
দেশের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ে পড়ালেখা করেছেন রফিকুল হাসান, আমির হামজা ও রেজাউল করিম কাজল। করোনাকালীন সময়ে নিজেদের অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন মার্ক ড্রয়িং কোম্পানি ডটকম নামক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত সাড়ে ৬ হাজার গ্রাহকের প্রায় ৩০ হাজার পোট্রেট এঁকে দিয়েছেন তারা। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১৫ জন তরুণের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করেছেন।
নিজেদের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আমির হামজা জানান, মার্কড্রয়িং কোম্পানি ডটকম প্রতিষ্ঠার পর কোনো কিছুই আমাদের পক্ষে ছিল না। দেশে বসে যুক্তরাজ্যের মতো একটি জায়গায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা ছিল চ্যালেঞ্জিং। এছাড়া পেমেন্ট গেটওয়ে অনুমোদন নেওয়াও ছিল কষ্টসাধ্য। তবে আমাদের পরিশ্রমে সাফল্য এসেছে। আমরা এখন পুরো যুক্তরাজ্য জুড়েই সঠিক সময়ে ছবি পৌঁছে দিচ্ছি।
মার্ক ড্রয়িং কোম্পানির মাধ্যমে গ্রাহকদের কি কি সেবা প্রদান করে থাকেন? এমন প্রশ্নের জবাবে এই তরুণেরা জানান, আমরা মূলত গ্রহকের পছন্দ অনুযায়ী পোট্রেট ছবি এঁকে দেই। আমাদের ছবির ধরণগুলো হলো সাদা-কালো, পেন্সিল পোট্রেট , কালার পেন্সিল পোট্রেট, পুরনো বা নষ্ট ছবি থেকে পোট্রেট করা। গ্রহাকরা মূলত আমাদের কাছ থেকে পারিবারিক পোট্রেট বেশি এঁকে নিয়ে থাকেন। এটির অর্ডারও অনেক বেশি।
কতদিনের মধ্যে ছবি এঁকে দেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তারা আরও জানান, আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যখন কেউ পোট্রেট আঁকার অর্ডার করে, তখন আমরা সেটি আগে কনফার্ম করি। পরবর্তীতে আমাদের আর্টিস্ট ডিপার্টমেন্ট ছবিগুলো আঁকে। ছবি আঁকার জন্য আমরা ৩ থেকে ৫ দিন সময় নেই। পরবর্তীতে আঁকা ছবি কাস্টমারের কাছে পাঠানো হয় তাদের ফিডব্যাক নেওয়ার জন্য। কাস্টমার যদি সবকিছু ঠিক আছে বলে কনফার্ম করে তখন আমরা ছবিটি ডেলিভারির জন্য পাঠাই। সব মিলিয়ে একটি পোট্রেট আঁকা থেকে শুরু করে ডেলিভারি পর্যন্ত আমরা ৫ থেকে ৬ ওয়ার্কিং ডে সময় নিয়ে থাকি।
নিজেদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে তারা বলেন, ভবিষ্যতে আমরা আমাদের কাজের পরিধি বাড়াতে চাই। আমরা যুক্তরাজ্যের বাইরে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নিয়ে যেতে চাই এবং দেশে অর্থনৈতিক খাতে অবদান রাখতে চাই।