বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের ১১৯তম জন্মবার্ষিকী আজ

আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:০০

আজ ১ জানুয়ারি পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের ১১৯তম জন্মবার্ষিকী। তিনি ১৯০৪ সালে মতান্তরে ১৯০৩ সালে ফরিদপুরের সদর উপজেলার তাম্বুলখানা গ্রামে মাতুতালয়ে জন্মগ্রহণ করেন।

পল্লীকবির বাবা আনসার উদ্দিন মোল্লা একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন। তার মায়ের নাম আমিনা খাতুন ওরফে রাঙাছুট। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকার সময়েই জসীম উদ্‌দীনের বিখ্যাত কবিতা ‘কবর’ বাংলা পাঠ্যবইয়ে স্থান পায়। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ    ‘রাখালী’। তার আরও ৪৫টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ছোটবেলা থেকেই সাহিত্যচর্চা শুরু করেন তিনি।

১৯২৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ এবং পরে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৩১ সালে দীনেশচন্দ্র সেনের সঙ্গে লোকসাহিত্য সংগ্রহ কাজে চাকরি করেন। পরে ১৯৩৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা সহকারী হিসেবে যোগ দেন। ১৯৩৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৪৪ সালে ঢাবির চাকরি ছেড়ে সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার বিভাগে যোগ দেন।

জসীম উদ্‌দীনের নকশী কাঁথার মাঠ ও সোজন বাদিয়ার ঘাট বাংলা ভাষার গীতিময় কবিতার উৎকৃষ্টতম নিদর্শনগুলোর অন্যতম। তার কবিতা বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। তার লেখা অসংখ্য পল্লীগীতি এখোনো গ্রাম বাংলার মানুষের মুখে মুখে শোনা যায়। পল্লীগীতির মধ্যে আমার হার কালা করলাম রে, আমায় ভাসাইলি রে, বন্ধু কাজল ভ্রমরা রে অন্যতম।

জসীমউদ্দীন প্রেসিডেন্টের প্রাইড অব পারফরমেন্স পুরস্কার (১৯৫৮), বাংলাদেশ সরকারের একুশে পদক (১৯৭৬) ও স্বাধীনতা পুরস্কারে (মরণোত্তর, ১৯৭৮) ভূষিত হন। তিনি ১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন। ১৯৭৬ সালে তিনি ঢাকায় ইন্তেকাল করেন।

ইত্তেফাক/আরএজে

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন