ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেছেন, ‘এ দেশের ভাগ্যোন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, তেমনি একটি উপজেলার সার্বিক উন্নয়ন ও জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের মতো পরিশ্রমী হওয়া প্রয়োজন।’
বুধবার (৪ জানুয়ারি) দুপুর আরাইটার দিকে চরভদ্রাসন উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি যখন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে উপমন্ত্রীর পিএস ছিলাম, তখন দেখেছি আপনাদের সার্বিক উন্নয়নে এমপি নিক্সন চৌধুরী কীভাবে ডিও নিয়ে দপ্তরে দপ্তরে ঘুরেন। এই চরভদ্রাসন উপজেলার নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প পাশ করানোর জন্য দিনের পর দিন মন্ত্রণালয়ে কতবার গিয়েছেন তা নজিরবিহীন। একটি রাস্তার জন্য, একটি স্কুলের জন্য, একটি কলেজের বরাদ্দ নেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ে ঘুরতেন তিনি।
ইতিমধ্যে শীতার্ত মানুষের শীতবস্ত্র ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ এনেছেন। যা আমরা তিনটি উপজেলায় ভাগ করে দিয়েছি। আপনারা চিন্তাও করতে পারবেন না, একজন সংসদ সদস্য হয়ে আপনাদের উন্নয়নে কতবার মন্ত্রণালয়ে যান। এবং বসে থেকে কাজ সম্পন্ন করেন নিক্সন চৌধুরী। তার সেই কষ্টের সুফল আমরা সকলে ভোগ করছি। এই উপজেলায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে অনেক গ্রাম।
উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে জেলা প্রশাসক বলেন, আপনারা কাউকে হয়রানি না করে জনগনের সেবার জন্য কাজ করে যাবেন। বীর মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের সূর্য সন্তান। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন রাষ্ট্র। আজ আমরা কেউ সচিব, কেউ ডিসি, কেউ অন্য দপ্তরের কর্মকর্তা।
এদেশ স্বাধীন বলেই আজ আমরা টাই ও সুট-বুট পরে স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে কর্মস্থলে যাই। আপনারা অনৈতিক উপায়ে অর্থ উপার্জন না করে দিন শেষে আপনার মাইনের হালাল উপার্জন নিয়ে সন্তুষ্ট চিত্তে বাড়ি ফিরবেন এটা আমার বিশ্বাস। এছাড়া একটি আধুনিক চরভদ্রাসন গড়তে সকলকে নিয়ে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানজিলা কবির ত্রপার সভাপতিত্বে ও সহকারী কমিশনা (ভূমি) মো. খাইরুল ইসলালের সঞালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. কাউছার, ভাইস চেয়ারম্যান মো. মোতালেব হোসেন মোল্লা, ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা বেগম, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজাদ খান ও মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদসহ অনেকে।
এ সময় ইউপি চেয়ারম্যানরা বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। একই দিন উপজেলার একটি বিদ্যালয়, চরভদ্রাসন থানা, ভূমি অফিস, সদর ইউনিয়ন পরিষদ,আশ্রয়নকেন্দ্র ও গোপালপুর আন্তঃজেলা ফেরিঘাট পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক।
