ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে তফসিলে নির্ধারিত সময়ের শেষ দিনে মোট ১০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বৃহষ্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিকাল ৪টা পর্যন্ত সরাইল ও আশুগঞ্জে সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন।
আশুগঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরবিন্দ বিশ্বাস জানান, বিকাল ৪টা পর্যন্ত আশুগঞ্জে মোট ৪ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ (স্বতন্ত্র), জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন (স্বতন্ত্র), বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব শাহজাহান আলম সাজু (স্বতন্ত্র) ও জাকের পার্টির মনোনীত প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জুয়েল।
সরাইলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো. জিল্লুর রহমান জানান, বিকাল ৪টা পর্যন্ত সরাইলে মোট ৮ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন জাতীয় সংসদ থেকে সদ্য পদত্যাগকারী পাঁচবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাবেক উপদেষ্টা (বহিষ্কৃত) উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া (স্বতন্ত্র), জাতীয় পার্টি থেকে দু’বারের সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা (স্বতন্ত্র), জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী (স্বতন্ত্র), জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আব্দুল হামিদ ভাসানী, যুবলীগ নেতা আশরাফ উদ্দিন মন্তু (স্বতন্ত্র), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মনোনীত প্রার্থী রাজ্জাক হোসেন, সরাইল উপজেলার চুন্টা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম (স্বতন্ত্র) ও সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের মোহন মিয়া (স্বতন্ত্র)।
এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে আশুগঞ্জ দক্ষিণ তারুয়া গ্রামের (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা) শাহ মো. মফিজ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সম্প্রতি বিএনপির হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তে গত ১১ ডিসেম্বর উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করলে আসনটি শূন্য হয়। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ আসনে উপনির্বাচন হবে। সরকারি দল আওয়ামী লীগ এ আসনটিতে তাদের দলীয় মনোনয়ন না দিয়ে উন্মুক্ত ঘোষণা করে।