যুদ্ধবিরতির নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রুশ অর্থোডক্স চার্চের অনুরোধে অর্থোডক্স ক্রিসমাস উপলক্ষ্যে ইউক্রেনে ৩৬ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতির নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তবে ইউক্রেন যুদ্ধবিরতিতে যাবে না বলে ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের স্থানীয় সময় শুক্রবার ১২টা থেকে শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে।
তবে ইউক্রেন বৃহস্পতিবার রুশ অর্থোডক্স গির্জা প্রধানের যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে। দেশটি এই যুদ্ধবিরতির আহ্বানকে ‘নিষ্ঠুর ফাঁদ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
পরবর্তীতে পুতিনের এমন নির্দেশের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক বলেন, ইউক্রেনের দখল করা ভূখণ্ড থেকে রাশিয়ার সব সেনা প্রত্যাহার করে নিলেই কেবল ‘অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি সম্ভব। ভণ্ডামি নিজেদের কাছেই রাখুন’।
তিনি আরও বলেন, “ইউক্রেইন রাশিয়ার মতো বিদেশি ভূখন্ডে আক্রমণ শানাচ্ছে না, বেসামরিক নাগরিকদেরকে মারছে না। তারা কেবল নিজেদের ভূখন্ডে দখলদার সেনাবাহিনীর সদস্যদের ধ্বংস করছে।”
রুশ অর্থোডক্স গির্জার প্রধান কিরিল শুক্রবার দুপুর থেকে শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতি যুদ্ধবিরতি পালনের আহ্বান জানান। এরপরেই পুতিনের পক্ষ থেকে এমন নির্দেশ এলো। প্রাচীন জুলিয়ান বর্ষপঞ্জি অনুসারে, রাশিয়ার অর্থোডক্স গির্জা প্রতি বছরের ৭ জানুয়ারি বড় দিন উৎসব পালন করে।
গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন পুতিন। এরপর আজ পর্যন্ত টানা ১১ মাসের বেশি সময় ধরে চলছে দেশ দুইটির সংঘাত। এতে দুইপক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
তবে যুদ্ধ বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো পূর্ব ইউক্রেনে দেশ দুইটির মধ্যে সংঘাত আরও বেড়েছে। তবে এই প্রথমবারের মতো পুতিন যুদ্ধবিরতির কোনো ঘোষণা দিলেন।