শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রিকশাচালককে গুলি করে হত্যা, কাউন্সিলরসহ গ্রেফতার ২

আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২৩, ২১:২৭

পাবনার ঈশ্বরদীতে রিকশাচালক মামুন হোসেনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি কামাল উদ্দিনসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে শহরের শৈলপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানায় র‍্যাব।

কামাল উদ্দিন ঈশ্বরদী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। গ্রেফতারকৃত অপর আসামি হলেন, তারই ভাতিজা হৃদয় হোসেন (২১)। তিনি ১ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি। তাকে মামলায় ৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে র‍্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, হত্যা মামলা হওয়ার পর আসামিদের ধরতে অভিযানে নামে র‍্যাব। শুক্রবার দুপুরে উপজেলা সদরের শৈলপাড়া মহল্লা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

র‍্যাব ক্যাম্পের অপারেশন কমান্ডার তৌহিদুল মবিন খান বলেন, অপর আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে। গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে শহরের পশ্চিম টেংরি কড়ইতলা এলাকায় ইঞ্জিনচালিত ভটভটির সঙ্গে এক লেগুনাচালকের বিরোধ হয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে কয়েকজন যুবক সেখানে গিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন।

স্থানীয় লোকজনের দাবি, এদের মধ্যে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনের ভাই আনোয়ার উদ্দিন পিস্তল বের করে গুলি চালান। এতে মামুন হোসেন (২৬) নামের এক রিকশাচালক নিহত হন।

ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে রকি হোসেন ও সুমন হোসেন নামের আরও দু'জন আহত হন। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ দাফন করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে রকি হোসেনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সুমন হোসেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে নিহত মামুনের মা লিপি খাতুন বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় গ্রেফতার করা কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনকে প্রধান করে মোট ৪ জনকে নামীয় এবং আরও ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

ইত্তেফাক/এসকে