বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ৯ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

৩৩ বছর পালিয়ে থাকার পর সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

আপডেট : ০৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪:৪৫

টাঙ্গাইলের বাসাইল থানার একটি ডাকাতির মামলায় বিগত ১৯৮৯ সালে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় আসামি শফিকুল ইসলাম ওরফে পাকুলকে। এ সাজা মাথায় নিয়ে তিনি দীর্ঘ ৩৩ বছর পলাতক ছিলেন। নিজের নাম ও পিতার নামসহ পুরো ঠিকানা পরিবর্তন করে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেন তিনি। বাঁচার জন্য বিভিন্ন ছদ্মবেশে তিনি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পালিয়ে বেড়াতেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। অবশেষে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাব-১৪ সিপিসি-৩ টাঙ্গাইল শুক্রবার বিকালে আসামিকে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করে এসব তথ্য তুলে ধরে। গ্রেফতারকৃত আসামি শফিকুল ইসলাম ওরফে পাকুল টাঙ্গাইলের বাসাইল থানার গিলাবাড়ী গ্রামের মুকছেদ আলীর ছেলে।

র‌্যাব-১৪ সিপিসি-৩ টাঙ্গাইলের কোম্পানি অধিনায়ক রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের (পিপিএম) জানান, আসামি শফিকুল ইসলাম ওরফে পাকুল ১৯৮৪ সালের একটি চাঞ্চল্যকর ডাকাতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন। ১৯৮৯ সালে এ মামলার রায় দেওয়া হয়। মামলা চলাকালীন সময় থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম পরিবর্তন করে তিনি হয়ে যান হেলাল উদ্দিন চিশতী এবং পিতার নাম পরিবর্তন করে রাখেন মোসলেম উদ্দিন চিশতী। কখনো তিনি আগুন পাগলা নাম ধারণ করে বিভিন্ন মাজারে ভক্তিমূলক গানের দলে মিশে পালিয়ে বেড়াতেন। গ্রেফতার এড়াতে তিনি কোথাও স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন না। ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্রে (৩২৯৮৭০০১৪১) তিনি নিজেকে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানার দেলুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা বলে উল্লেখ করেছিলেন। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় তিনি তার মেয়ের ভাড়া বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন। র‌্যাবের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে টাঙ্গাইল নিয়ে আসে। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আসামিকে বাসাইল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

ইত্তেফাক/এমএএম