রোববার, ২৮ মে ২০২৩, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

পাগলা মসজিদে মিললো ২০ বস্তা টাকা

আপডেট : ০৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬:১২

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে মিললো ২০ বস্তা টাকা। শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ চৌধুরীসহ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিততে পাগলা মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়।

ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, নিচ তলায় অবস্থিত দানবাক্সগুলো খোলার পর ২০ বস্তা টাকা ভর্তি করা হয়। পরে টাকার বস্তা উপর তলায় নিয়ে সেগুলো মেঝেতে ঢেলে প্রথমে টাকা ভাঁজ ও পরে নোটওয়ারি বাছাই করা হয়। এই কাজে মসজিদ কমিটির লোকজন এবং মসজিদ সংলগ্ন মাদরাসার শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এখন চলছে টাকা গণনার কাজ।

তিনি জানান, রূপালি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টাকা গণনার কাজে অংশ নিচ্ছেন। সাধারণত টাকা গণনার কাজ শেষ হতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। পরে রাতেই প্রাপ্ত টাকা রূপালি ব্যাংকে মসজিদের অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হবে। নগদ অর্থ ছাড়াও স্বর্ণালংকার, বিদেশি মুদ্রাও পাওয়া যায়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সাধারণত তিন মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়। সর্বশেষ ১ অক্টোবর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন তিন কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা পাওয়া যায়।

দুই শতাধিক বছরের প্রাচীন ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদকে ঘিরে অনেক জনশ্রুতি রয়েছে। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান এই মসজিদে দান ও মানত করতে আসেন। এছাড়াই প্রতিদিনই লোকজন গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি প্রভৃতিও নিয়ে আসেন। ওইগুলো বিক্রি করে মসজিদের ফান্ডে জমা দেওয়া হয়। অন্য ধর্মাবলম্বী লোকজনও বিশ্বাসের কারণে এই মসজিদে  দান ও মানত করে থাকেন।

ইত্তেফাক/আরএজে/পিও