মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ১৪ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯:৫০

নাটোরের সদর উপজেলার ছাতনী দিয়ার নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খালিদ হোসেনের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যসহ অভিভাবকবৃন্দ। রোববার (৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন হয়। 

মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়, প্রধান শিক্ষক খালিদ হোসেন একজন নেশাখোর ব্যক্তি। তিনি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে ৪ জানুয়ারি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভায় প্রধান শিক্ষক খালিদ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করে সহকারী শিক্ষক মো. মাহাবুবুল আলমকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করা হয়।

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন। ছবি: ইত্তেফাক

জানা যায়, ২০০৩ সালে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য স্থানীয়রা ২ বিঘা জমি দান করেন। বিনিময়ে দাতাদের আত্মীয়-স্বজনদের বিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্তির জন্য শিক্ষক-কর্মচারীদের কাগজপত্র আবেদনপত্রের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক খালিদ হোসেন শিক্ষক-কর্মচারীদের আসল কাগজপত্র না পাঠিয়ে নিজের কাছে রেখে দেন। ২০২২ সালের ৬ জুলাই বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হওয়ার পর প্রধান শিক্ষক খালিদ হোসেন প্রতিষ্ঠাকালীন প্রত্যেক শিক্ষক-কর্মচারীর নিকট ঘুষ দাবি করেন। ঘুষ দিতে রাজি না হওয়ায় তাদের নাম ব্যানবেইসে অন্তর্ভুক্ত করেন। এছাড়াও কেরানী পদে প্রধান শিক্ষক তার দ্বিতীয় স্ত্রী রুনাকে স্থলাভিষিক্ত করেন। একই পদে শম্পা খাতুন নামের একজনের কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা নিয়েছেন। 
 
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাতনী দিয়ার নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খালিদ হোসেনকে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি।

নাটোর সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ ব্যাপারে তিনি অবগত আছেন। কোনো বিদ্যালয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক নিয়োগ করতে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করতে হয়। যারা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে শিক্ষকতা করছেন তাদের কাগজপত্র বৈধ হলে তারাই ঐ বিদ্যালয়ে এমপিওভুক্ত হবেন।

ইত্তেফাক/বুখারী/পিও