বলেশ্বর নদে নৌকাডুবিতে দুই ভাইয়ের নিখোঁজের ঘটনার ছয়দিন পর পাওয়া গেছে ছোট ভাই বাইজিদ (১৭) এর লাশ। তার জানাজার সালাম ফেরানোর পরই খবর আসে বড় ভাই ইউসুফ (২৪) এর লাশও পাওয়া গেছে।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় পদ্মা গ্রামের আমিন বেপারীর ছেলে বাইজিদ-এর জানাজা হয়।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) বাড়ি থেকে রাতের খাবার খেয়ে চার দিনের বাজার সদাই নিয়ে ইউসুফ ও বাইজিদ সুন্দরবন সংলগ্ন বলেশ্বর নদে মাছ ধরার জন্য ছোট একটি নৌকা নিয়ে রওনা দেন। পরদিন বুধবার (৪ জানুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে বাইজিদ তার মায়ের কাছে ফোন দিয়ে জানান তাদের নৌকা ডুবে গেছে। তারা দুইজন একটি ককশিটের ওপর ভেসে থেকে সাহায্য চাচ্ছিলেন। তারপর থেকেই তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তখন থেকে প্রতিদিনই পরিবারের সদস্যরা নদীতে অনুসন্ধান চালাতে থাকেন।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, নিখোঁজের দিন থেকেই প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নদীতে অনুসন্ধান করেছি। মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে ছোট ভাই বাইজিদের লাশ সুন্দরবন সংলগ্ন পিদিয়া এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে আজ বুধবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে বলেশ্বর নদের চরে ইউসুফের লাশ পাওয়া যায়।
মৃতদের ফুফাতো ভাই মো. বেল্লাল বলেন, বাইজিদের শরীর পচে যাওয়ার কারণে দাফন শেষ করা হয়েছে। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইউসুফের জানাজা শেষে দাফন করা হয়।
বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুম আকন বলেন, তাদের উদ্ধারের জন্য পাঁচটি ট্রলার গত চার দিন নদীতে তল্লাশি করছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বায়জিদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর বুধবার বায়েজিদের জানাজার সময় অপর জেলেকে জানাজাস্থলের পাশেই ভাসতে দেখে।
পাথরঘাটা সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন, দুই চাচাতো ভাইয়ের মরদেহ পাওয়ার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
পাথরঘাটা থানার ওসি সঞ্জয় মজুমদার বলেন, নিখোঁজ দুই ভাইয়ের লাশ উদ্ধার হয়েছে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।