রোববার, ১১ জুন ২০২৩, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

আইভী হত্যাচেষ্টা মামলায় ১২ আসামিকে চার্জশিট

আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ২২:০১

নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী ও তার অনুসারীদের সঙ্গে হকারদের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে পিবিআই। 

তবে এই চার্জশিটে খুশি নন সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি এর বিরুদ্ধে নারাজি দেবেন বলে জানিয়েছেন। মামলার ৩ বছর পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। 

অত্যন্ত গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে সম্প্রতি আদালতে চার্জশিটটি জমা দেওয়া হয়। আগামী ২৯ জানুয়ারি চার্জশিটের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এতদিন চার্জশিটের বিষয়টি গোপন থাকলেও মেয়র আইভী একটি অনুষ্ঠানে নিজেই বিষয়টি প্রকাশ করেন। 

নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। ফাইল ছবি

চার্জশিটের ১২ জনের বিরুদ্ধে হুমকি, হত্যারচেষ্টা, জখম, নাশকতা, ভাঙচুরসহ অরাজকতার প্রমাণ পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। তবে অস্ত্র আইনের ধারা থেকে আসামিদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। 

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, যুবলীগের সাবেক নেতা নিয়াজুল ইসলাম খান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, নারায়ণগঞ্জ হকার্স লীগের সভাপতি রহিম মুন্সি, হকার সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি আসাদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. পলাশ মিয়া, হকার সায়মন, ইকবাল হোসেন, মাসুদ পাটোয়ারী শুক্কুর, মো. তোফাজ্জল, মহসীন বেপারি, সালাউদ্দিন গাজী ও মো. সাদেকুল ইসলাম। মামলার মূল এজাহার থেকে মাত্র দুজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে সাতজনকে। তারা হলেন ঘটনার সময়ে অস্ত্র প্রদর্শনকারী নিয়াজুল ইসলাম খান ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, নগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জানে আলম বিপ্লব, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সুজন, যুবলীগকর্মী নাসির উদ্দিন, যুবলীগ নেতা চঞ্চল মাহমুদ। 

ঘটনার ২২ মাস ১৮ দিন পর ২০১৯ সালের ৪ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতের নির্দেশে সদর মডেল থানায় দেয়া অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। মামলায় ৯ জনকে বিবাদী করা হয়েছিল। তবে নতুন করে আরও ১০ জনের নাম যুক্ত করা হয়েছে। 

নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। ফাইল ছবি

২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে মেয়র আইভী ও তার অনুসারীদের সঙ্গে হকারদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুপক্ষের সংঘর্ষে আইভীসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। 

আইভীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে ২২ জানুয়ারি নিয়াজুলসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও এক হাজারজনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দেন সিটি করপোরেশনের আইন কর্মকর্তা জিএম সাত্তার। তবে পুলিশ অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে রেকর্ড করে। ২২ মাস ১৮ দিন পর ২০১৯ সালের ৪ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতের নির্দেশে সদর মডেল থানায় দেওয়া অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়।

ইত্তেফাক/পিও