মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ১৩ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

যমুনায় নব্যতা সংকট, যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ

আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ২২:২৩

যমুনার কালিতলা ঘাট তিন কিলোমিটার দূরত্বে দেলুয়াবাড়িতে স্থানান্তর করায় যাত্রীদের নদী পারাপারে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অপরদিকে কালিতলা ঘাটে অবস্থিত শতাধিক দোকান ও হোটেলে বিক্রি কমে যাওয়ায় দোকানিরা পরিবার নিয়ে কষ্টে জীবন যাপন করছে।

নাব্যতা সংকট ও যমুনার বুকে অসংখ্য চর জেগে উঠায় নৌ-চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কালিতলা থেকে ঘাট ৩ কিলোমিটার ভাটিতে দেলুয়াবাড়িতে স্থানান্তর করা হয়েছে। 
ঘাট স্থানান্তর হওয়ায় যাত্রীদের কালিতলা থেকে বালুচর পেরিয়ে নতুন ঘাটে গিয়ে নৌকায় উঠতে হয়। আবার অটো, ভ্যানে উঠলেও জনপ্রতি ভাড়া গুনতে হয় ৩০ টাকা। এমতাবস্থায় পণ্য নিয়ে ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে। 

যমুনা নদীতে জেগে উঠেছে চর। ফাইল ছবি

জামালপুরের মাদারগঞ্জ ঘাট থেকে সারিয়কান্দির কালিতলা ঘাট হয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী ও ব্যবসায়ী বগুড়া শহরে যাতায়াত করে থাকে। 

ঘাটের লোকেরা জনান, আগে কালিতলা থেকে মাদারগঞ্জ ঘাটে যেতে সময় লাগতো এক ঘণ্টা। এখন দেলুয়াবাড়ি ঘাট থেকে যমুনার নানা বাক ঘুরে মাদারগঞ্জ ঘাটে পৌঁছাতে সময় লাগে দুই ঘণ্টারও বেশি। সে জন্য খেয়া নৌকার ভাড়াও বৃদ্ধি করা হয়েছে। 

গাবতলির মঞ্জুর হক জানান, জামালপুরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। বন্ধের দিনে প্রতি সপ্তাহে তিনি বাড়ি আসেন। কিন্তু যাতায়াতে দুর্ভোগ এবং অতিরিক্ত ভাড়ার জন্য এখন আর বাড়ি আসা হবে না। 

মাদারগঞ্জের বালিজুরি বাজারের ব্যবসায়ী আজিজুল মোল্লা জানান, অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও সারিয়াকান্দি থেকে মালামাল নিয়ে বালু চরের উপর দিয়ে ঘাট পারে কোনো গাড়ি যেতে চায় না। ঘাট পারাপারের সমস্যার কারণে ব্যবসা করা দূরুহ হয়ে পড়েছে। 

যমুনা নদীতে জেগে উঠেছে চর। ফাইল ছবি

জামথল চরের বাসিন্দা, সারিয়াকান্দি আব্দুল মান্নান মহিলা কলেজের প্রভাষক জুয়েল মিয়া জনান, চর জেগে উঠায় নানা বাক ঘুরে দুইবার নদী পার হতে ৪/৫ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। 

কালিতলা ঘাটের হোটেল ব্যাবসায়ী মতিমিয়া বলেন, ঘাট সরে যাওয়ায় বেচা বিক্রি নেই বললেই চলে। এখন হোটেল খোলা রেখে লোকসান গুনতে হচ্ছে।

ঘাট ইজারাদার আবু সাইদ জানান, কালিতলা ঘাটের নিকট চ্যানেল শুকিয়ে যাওয়ায় ঘাট স্থানান্তর করতে বাধ্য হয়েছি। যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে আমরা বালুচরের ভেতর দিয়ে রাস্তা করার চেষ্টা করছি। কিন্তু তা খুবই ব্যয়বহুল। পানি না বাড়া পর্যন্ত কয়েক মাস কষ্ট করতে হবে।

ইত্তেফাক/পিও