বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

ব্যবসা নিয়ে শঙ্কায় চল্লিশ শতাংশ সিইও

আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৩:৩০

এ বছর বিশ্বমন্দার পূর্বাভাস দিচ্ছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। এবার বৈশ্বিক নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রাইজ ওয়াটার হাউজ কুপার্সের (পিডব্লিউসি) জরিপে প্রধান নির্বাহীরাও ব্যবসা নিয়ে আশঙ্কা করছেন। 

জরিপে ৭৩ শতাংশ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা সিইও মনে করছেন, চলতি বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার কমবে। ৪০ শতাংশ প্রধান নির্বাহীর আশঙ্কা, ব্যবসা-বাণিজ্য বর্তমানে যে ধারায় চলছে, সেভাবে চলতে থাকলে আগামী এক দশকের মধ্যে তাদের কোম্পানি অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক অবস্থায় থাকবে না। প্রায় সব খাতের প্রধান নির্বাহীরাই এমনটি বলেছেন। যেমন টেলিযোগাযোগ খাতের ৪৬ শতাংশ, উৎপাদনশীল খাতের ৪৩, স্বাস্থ্যসেবা খাতের ৪২ ও প্রযুক্তি খাতের ৪১ শতাংশ প্রধান নির্বাহী এমন শঙ্কা জানিয়েছেন।

জরিপে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কোম্পানির প্রধান নির্বাহীরা ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের কথা বলেছেন। এ ছাড়া কোম্পানির ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধি নিয়েও তারা আশা জানিয়েছেন। বর্তমানে তাদের আত্মবিশ্বাস হ্রাসের হার ২৬ শতাংশ। এর আগে ২০০৮-০৯ সালে বৈশ্বিক মন্দার সময় আত্মবিশ্বাস হ্রাসের হার ছিল সর্বোচ্চ ৫৮ শতাংশ। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৪ হাজার ৪১০ জন সিইও এই জরিপে অংশ নিয়েছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত জরিপের ফলাফলে বলা হয়—বর্তমানের ব্যবসা-বাণিজ্যের আশঙ্কাজনক বাস্তবতায় প্রধান নির্বাহীরা খরচ কমাতে শুরু করেছেন। তবে উন্নত বিশ্বে যেভাবে মানুষ চাকরি ছাড়ছেন, তাতে মেধাবী কর্মীদের ধরে রাখতে ৬০ শতাংশ প্রধান নির্বাহীর বেতন কমানোর পরিকল্পনা নেই।

গত বছর প্রধান নির্বাহীদের উদ্বেগের মূল জায়গা ছিল সাইবার ও নিরাপত্তাঝুঁকি। এ বছর সেটি অনেকটাই আড়ালে চলে গেছে, বরং অর্থনৈতিক শ্লথগতির প্রভাব কী হবে, তা নিয়ে প্রধান নির্বাহীরা উদ্বিগ্ন। স্বল্প ও মধ্য মেয়াদে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হিসেবে তারা চিহ্নিত করেছেন মূল্যস্ফীতি ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতাকে। এর সঙ্গে ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আর্থিক নিরাপত্তাহীনতার কথা বলেছেন তারা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান ভূরাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে প্রধান নির্বাহীরা ব্যবসার মডেল নিয়ে নতুন করে চিন্তা করছেন। তারা ধরেই নিচ্ছেন, নানা ধরনের রাজনৈতিক ঝুঁকির মধ্য দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। সে জন্য তারা কৌশলে পরিবর্তন আনবেন। ৪৮ শতাংশ প্রধান নির্বাহী বলেছেন, তারা সাইবার নিরাপত্তা ও তথ্য সুরক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াবেন। আবার ৪৬ শতাংশ সরবরাহব্যবস্থায় সমন্বয়, ৪৬ শতাংশ বাজারের উপস্থিতি পুনর্মূল্যায়ন বা নতুন বাজার সন্ধান এবং ৪১ শতাংশ প্রধান নির্বাহী নতুন পণ্য ও সেবা আনায় জোর দেওয়ার কথা জানান।

ইত্তেফাক/এমএএম

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন