জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়ে এলো নতুন ওয়েব পোর্টাল। আগামীতে একটি মোবাইল অ্যাপও চালু করা হবে। সম্প্রতি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ‘কনজুমার কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিসিএমএস)’ শীর্ষক এই সেবা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। সিসিএমএস মূলত দুইটি অংশে বিভক্ত। অভিযোগ পোর্টাল ও প্রশাসনিক প্যানেল। অভিযোগ পোর্টাল সবার জন্য উন্মুক্ত। ভোক্তারা (https://dncrp.com/) পোর্টালে গিয়ে নিজ নিজ সচল মোবাইল ফোন নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে প্রোফাইল খুলে সহজেই অধিদপ্তরের কাছে অভিযোগ ও সমস্যার কথা তুলে ধরতে পারবেন। মাস তিনেক পর মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেও এ সুবিধা পাওয়া যাবে।
উদ্বোধনকালে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান জানিয়েছেন, নতুন এই সেবায় অভিযোগ জানানোর জন্য অডিও, ভিডিও কিংবা যে কোনো ছবি অ্যাটাচ করার সুবিধা আছে। বর্তমানে ভোক্তারা প্রতারিত হয়ে গেলে সরাসরি এসে অথবা ইমেইলে বা হোয়াটসঅ্যাপে অভিযোগ করে। ইমেইলে পাঠালে প্রযুক্তিগত কারণে অনেকগুলো মিসিং হয়ে যায়। আবার অনেক ক্ষেত্রে অডিও-ভিডিও ইত্যাদি সংযুক্ত করলে ইমেইল পাঠাতে পারেন না। এবার এসব সমস্যার সমাধান হবে। নতুন এই সেবা প্রথম তিন মাস পরীক্ষামূলকভাবে শুধু ঢাকা বিভাগে চলবে। এরপর তা সারা দেশের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
যেসব অভিযোগ করা যাবে: মোট চার ক্যাটাগরিতে অভিযোগ করা যাবে। খাদ্যদ্রব্য, পণ্য, মেডিসিন ও সার্ভিস। নিয়ম অনুযায়ী এই চার ক্যাটাগরি নিয়ে কাজ করার সুযোগ রয়েছে ভোক্তা অধিদপ্তরের। আর এই চার ক্যাটাগরির বাইরে কারো অভিযোগ থাকলে আগের মতো সশরীরে অধিদপ্তরে এসে লিখিতভাবে জানাতে হবে। ভোক্তা অভিযোগ জানানোর পর ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করা হবে। এক্ষেত্রে অভিযোগ গ্রহণ হওয়ার পর ভোক্তার কাছে এসএমএস যাবে। তারপর শুনানি হবে। কোথায়, কার কাছে শুনানি পড়েছে সেটি ভোক্তাকে জানানো হবে। আর অভিযোগটি নিষ্পত্তি হবে, নাকি জরিমানা হবে, নাকি পুনরায় শুনানি হবে—সে ব্যাপারেও ভোক্তাকে এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। ভোক্তারা অভিযোগ জানাতে পারবেন সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে। অভিযোগ নিষ্পত্তির পর জরিমানা হলে তার ২৫ শতাংশ পাবেন ভোক্তা।