বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোবাইলে গেমস খেলতে খেলতে ট্রেনে কাটা পড়লো তরুণ

আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯:১৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন বন্ধু রেললাইনে বসে মোবাইলে গেমস খেলার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে একজন নিহত ও দুই জন আহত হয়েছে। শনিবার (২১ জানুয়ারি) দিনগত রাত ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের পুনিয়াউট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত রিমঝিম জেলা শহরের সরকারপাড়া এলাকার মৃত মনজু মিয়ার ছেলে। আহত আরাফাত (২২) সরকারপাড়া এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে ও দিপু মিয়া (২৫) একই এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে। তারা ৩ জনই রাজমিস্ত্রী সহকারী হিসেবে কাজ করতো।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জানান, রাতে পুনিয়াউট এলাকায় তিন তরুণ ঢাকাগামী রেললাইনে বসে মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তারা ট্রেন আসার বিষয়টি খেয়াল করতে পারেননি। এ সময় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী সুরমা ট্রেনের নীচে তিনজনই ট্রেনে কাটা পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই রিমঝিম মারা যান। অন্য দুজন পা ও মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে হতাহতদের উদ্ধার করে জেলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহত দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। 

এদিকে, নিহত রিমঝিমের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা লিপি বেগম। তিনি জানান, রিমঝিমের বাবা ১০ বছর আগে মারা গেছে। এরপর থেকেই বহু কষ্টে চলছিলো তাদের পরিবার। রিমঝিম বড় হয়ে রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করে দুভাই, এক বোন, নানীসহ ৫ জনের পরিবারটি চালিয়ে আসছিলো। শনিবারও প্রতিদিনের মতো দিনভর কাজ শেষ করে সন্ধ্যার পর সে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। তাকে মোবাইলে গেমস খেলতে বার বার বারণ করেছি। সে কথা শুনলো না। আমাদের অজান্তের সে ওইখানে গিয়ে বন্ধুদের নিয়ে মোবাইলে গেমস খেলছিলো। 

এলাকাবাসী জানান, প্রায় সময়ই রেললাইনে কাটা পড়ে অনেকের মৃত্যু হয়। তাই সকলকে সচেতন হতে হবে। সে সঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা জানান, রেললাইনের নিরাপত্তায় রেলওয়ে পুলিশের তৎপরতা আরও বাড়াতে হবে।
 
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জানান, এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে রেল সড়কের উপর অহেতুক আড্ডা, গেইম খেলা বন্ধে পুলিশি তৎপরতা আরও বাড়ানো হবে। সে সঙ্গে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করা হবে।

ইত্তেফাক/পিও