কুড়িগ্রামের রৌমারীতে প্রধান শিক্ষককে পেটানোর ঘটনায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা রোকনুজ্জামান রোকন ও তার সহযোগীকে তিন দিনেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক নরুন্নবী রৌমারী থানায় বাদী হয়ে মামলা করেছিলেন। এ নিয়ে শিক্ষক সমাজসহ বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
আসামিরা হলেন, রৌমারী উপজেলার পাখিউড়া গ্রামের আজমত আলীর ছেলে ও আওয়ামী লীগ নেতা রোকনুজ্জামান রোকন (৪০) । তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ছিলেন। অপর আসামি ফুলকারচর গ্রামের মৃত আকায়েত উল্লাহর ছেলে আসাদুল ইসলাম (৪৭) ।
ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক মো. নরুন্নবী বলেন, আমাকে অন্যায়ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। থানায় মামলা করেছি। অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা রোকনসহ আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
সহকারী শিক্ষক কাজিউল ইসলাম বলেন, একজন প্রধান শিক্ষককে যেভাবে লাঞ্ছিত ও অপমানিত করা হয়েছে, তা সকল শিক্ষকের জন্য লজ্জার। একজন শিক্ষক হিসেবে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
রৌমারী থানার ওসি রুপকুমার সরকার জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
গত ১৯ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দুপুরে ফুলকারচর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নরুন্নবীকে তুলে নিয়ে বেধড়ক মারধর করেন রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা রোকনুজ্জামান রোকন ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় শনিবার বিকালে নরুন্নবী বাদী হয়ে রোকনুজ্জামান রোকন ও আসাদুল ইসলামের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ওইদিন রাতেই এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হোরায়রা।