শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

জামিন পেয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সুযোগ এক বনদস্যুর

আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ২০:০১

অস্ত্র মামলায় দণ্ডিত এক বনদস্যুকে জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট। আড়াই বছর জেল খাটার পর তাকে জামিন দেয় আদালত। বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (২৫ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন। 

এর আগে আত্মসমর্পণকারী ৩২৮ বনদস্যুর তালিকা আদালতে দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই তালিকায় দণ্ডিত বনদস্যু মো. আসাদুল ইসলাম ওরফে কোকিলের নাম রয়েছে। যারা আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সুযোগ পেয়েছিলেন।

সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের চরপুটিয়া নামক স্থানে অভিযান চালায় র‌্যাব-৮ একটি দল। ওই অভিযান চলাকালে ২০১৬ সালের ৩০ মে আত্মসমর্পণ করেন আসাদুল। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি বিদেশী রাইফেল ও গুলি। এ ঘটনায় পরদিন বাগেরহাটের মংলা থানায় মামলা করে র‌্যাব। অস্ত্র আইনে করা এই মামলায় ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি আসাদুলকে ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত। অস্ত্র আইনের ১৯(অ) ধারায় আসামিকে এই সাজা দেন বাগেরহাটের সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহা. গাজী রহমান। এ রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক ছিলেন। পরে আত্মসমর্পণ করে কারাগার থেকে রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। ওই আপিল বিচারাধীন থাকাবস্থায় আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করেন আসামি। ওই আবেদনের শুনানিতে আসামি পক্ষে আইনজীবী গোলাম আব্বাস চৌধুরী ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভুঁইয়া অংশ নেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন।  

আইনজীবীরা জানান, স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জন্যই আত্মসমর্পণ করেছিলেন বনদস্যুরা। কিন্তু অস্ত্র মামলায় সাজা হওয়ায় এই বনদস্যুকে আড়াই বছর জেলেই কাটাতে হয়েছে। ফলে তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি। এখন জামিন পাওয়ায় ফিরতে পারবেন স্বাভাবিক জীবনে। 

ইত্তেফাক/এমএএম