সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ১৩ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

কুয়েতে বাঙালিদের উদ্যোগে শীত কালীন পিঠা উৎসব

আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ২২:০৭

মরুর দেশ কুয়েতে এখান প্রায় তিন লাখ বাংলাদেশির বসবাস। যেখানেই বাংলাদেশিদের অবস্থান সেখানেই পৌষ পার্বণ। গত ২৭ জানুয়ারি এই মরুর দেশে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো পৌষ সংক্রান্তি উৎসব। দেশটির কেবদ অঞ্চলে এই আয়োজন করা হয়।

শীতের সকালে পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে প্রবাসী নারীরা পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে বাহারি পিঠা নিয়ে এক জমজমাট পিঠা উৎসবের আয়োজন করেন। সবুজে ঘেরা কোলাহলমুক্ত নির্মল পরিবেশে পৌষ সংক্রান্তি উৎসবের আয়োজক ছবি রহমান এবং লাইলি শিল্পী। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন রাঙা সাঈদ এবং আশরাফুল।

নানা নামের বাহারি নকশার মুখরোচক সব পিঠার মধ্যে ছিল ভাপা পিঠা, নারিকেল দুধ পুলি, গোলাপ ফুল পিঠা, পাটি সাপটা, চিতই পিঠা, মালপোয়া পিঠা,ফুলঝুরি পিঠা,সেমাই পিঠা,  সন্দেশসহ মজার সব সুস্বাদু ও নজরকাড়া পিঠা। উৎসবে প্রায় ৬০ জন নারী প্রায় ৫০ রকমের পিঠা প্রদর্শন করেন। 

অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, এ যেন এক মরুর বুকে একখণ্ড বাংলাদেশ। বাঙালি'র হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে পিঠা। আর তাই পিঠা বাঙালি'র জীবন ও লোকজ খাদ্য সংস্কৃতির এক অপরিহার্য অংশ। আরো বললেন- সকলের সম্মিলিত চেষ্টায় প্রবাসের মাটিতে এই ধরনের অনুষ্ঠান দেশের সুনাম বয়ে আনে । 

কুয়েতে শীত কালীন পিঠা-পুলি`র উৎসবে বাঙালি নারীরা।

সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দিনটি ছিল উৎসবমুখর। খাওয়া-দাওয়া, খেলাধুলা, আড্ডায় মেতেছিল ছোট বড় সকলেই। পিঠা বানানোর জন্য রমণীদের মধ্য  থেকে লটারির মাধ্যমে ছয় জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

নারীদের বালিশ খেলায় পাঁচজন, পুরুষদের হাড়িভাঙ্গা খেলায় তিন জন, বালতিতে বল নিক্ষেপ তিনজন, বিংগো খেলায় পাঁচজন , লটারির মাধ্যমে সবশেষে আকর্ষণীয় ছিল লাকি পরিবার।

অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে লটারিরর মাধ্যমে একজন লাকি পরিবারের জন্য ছিল ডায়মন্ডের নাকফুল। সবাইকে পিছে ফেলে লাকি পরিবারের জয়ের মুকুট ছিনিয়ে নেয় পারভিন ইসলাম।

অনুষ্ঠনে আরও উপস্থিত ছিলেন ছবি রহমান, শিখা মুনির, ডাঃ বুশরা হাবিব, রুবিনা মুনির, মিসেস নার্গিস, মিসেস লুবনা, মিসেস মনোয়ার জাহান, জাকিয়া সুলতানা, ফাহিমা মুনির, লাইলী শিল্পী, রাঙ্গা সাঈদ এবং হাবিব ডায়মন্ড প্রমূখ।

ইত্তেফাক/এএইচপি