রোববার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১৫ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের বার্তা নিয়ে সারাদেশে ঘুরছেন ড. আবদুল ওয়াদুদ

আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ২০:০৫

ফিকামলি তত্ত্বের জনক, বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ মনোবিজ্ঞান সমিতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ড. আবদুল ওয়াদুদ এর সম্পাদিত বর্তমান সরকারের উন্নয়নের বার্তা সম্বলিত লিফলেট দেশব্যাপী বিতরণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে জনমত গঠনে এ লিফলেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বিশিষ্টজনেরা।

একদল তরুণ সাইবার যোদ্ধার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলায় লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে বলে জানান ড. ওয়াদুদ। বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির মিথ্যাচার ও  অপপ্রচারের জবাব দিতে ও  বর্তমান সরকারের উন্নয়নের সঠিক চিত্র তুলে ধরতে তার এ ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ। এ লিফলেট ইতিমধ্যে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। দেশীয় ও বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের থেকে সতর্ক থাকার জন্য এবং জ্বালাও-পোড়াওয়ের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করার জন্য তিনি দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। লিফলেটে ড. আবদুল ওয়াদুদ এর জনগণের প্রতি আহ্বানটি হুবহু তুলে ধরা হলো।   

দেশপ্রেমিক জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান-জাতি গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার সঙ্গে লক্ষ করছে যে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ততই পূর্বের চেহারায় আবির্ভূত হচ্ছে। সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও অগ্নিসংযোগের মতো রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে। শ্রীলংকা দেউলিয়া ঘোষণা হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও অগ্রগতি বিনষ্ট করার জন্য অপশক্তি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী মাঠ ঘোলাটে করার ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। 

একসময় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় উত্তরণের প্রয়োজনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাস্তবায়িত হলেও পরবর্তীতে আদালতের রায়ের মাধ্যমে এটি নাকচ হয়ে যায়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণাটাই অগণতান্ত্রিক ও আমাদের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আমাদের সংবিধান অনুযায়ী দেশ পরিচালনার নেতৃবৃন্দ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে। গ্রামের সালিশ বৈঠকে সদস্য নির্বাচনের মত একটি পদ্ধতি তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ফলে সরকারের পক্ষে যেটা পুনরায় ফিরিয়ে আনার কোনো যৌক্তিক কারণ নাই। 
ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে পেছনের দরজা দিয়ে বিএনপি ক্ষমতায় আসার নিষ্ফল চেষ্টা করছে। সে লক্ষ্যেই স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী বিএনপি-জামাত চক্র নির্লজ্জের মত বিদেশিদের দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি তাদের আস্থাহীনতা ও রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের প্রমাণ দিয়ে ক্রমাগত দেশের স্বার্থ ও সুনাম ক্ষুণ্ণ করে চলেছে। হীন উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রকারী কুচক্রী মহল বর্তমান উন্নয়নমুখী ও গণমুখী সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে মানুষের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করছে। সরকারের সৃষ্ট কোনো কৃত্রিম সংকট জনগণকে মোকাবিলা করতে হয়নি। 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পথে রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যাংকে কোনো তারল্য সংকট নেই, যথেষ্ট পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে, জ্বালানি ও বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি নেই।  বৈশ্বিক বাণিজ্যের অস্বাভাবিক অবস্থা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে সৃষ্ট ঊর্ধ্বমুখী দ্রব্যমূল্য এখন সহনীয় পর্যায়েই রয়েছে। বিএনপি যেসব অপপ্রচার ও গুজব ছড়াচ্ছে এবং সংকটের কথা বলছে বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব নেই; এগুলো সবই মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এসব মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে কান দিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য দেশপ্রেমিক জনগণকে উদাত্ত আহ্বান জানাই। সকল সংকট মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দীপ্ত পদে এগিয়ে চলছেন। 

দেশপ্রেমিক জনগণের প্রতি আহ্বান আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করে উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে এগিয়ে আসুন। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সকল অপশক্তিকে বর্জন করতে আসুন আমরা সবাই একতাবদ্ধ হই এবং এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই।

বন্ধ হোক জ্বালাও-পোড়াও, সন্ত্রাস, মৌলবাদ আর জঙ্গিবাদ। রাজনীতি হোক সুস্থ ধারার আদর্শ আর জন মনন চর্চার পাদপীঠ।

ইত্তেফাক/এমএএম