বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ৯ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

বীর মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যা: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭:১৪

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম মহিলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াজেদ আলীকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ রহস্য উদ্ঘাটন ও বিচারের দাবিতে হরতাল পালন করা হয়েছে।


 
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) পাটগ্রাম বাজার ব্যবসায়ী ও পূর্ব বাজার ব্যবসায়ী সমিতি এবং সম্মিলিত নাগরিক সমাজ সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেন। হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার হওয়ায় দুপুর ২ টায় হরতাল প্রত্যাহার করা হয়।

নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াজেদ আলী। ছবি: ইত্তেফাক
 
হরতালে সকাল থেকে উপজেলায় সকল প্রকার যানবাহন, দোকান-পাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। জরুরি সেবার ঔষুধ, খাবার ও খাদ্যপণ্যের দোকানও বন্ধ থাকে। শহরজুড়ে সকাল থেকে বিভিন্ন ব্যানারে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। 

এদিকে রোববার (২৯ জানুয়ারি) রাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অধ্যক্ষকে খুনের ঘটনার মামলায় প্রধান আসামি নাহিদুজ্জামান প্রধান বাবুকে উপজেলার সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করেছে পাটগ্রাম থানা পুলিশ। রাতই প্রধান আসামি বাবুকে লালমনিরহাট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার বিকালে হত্যাকাণ্ড ও আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করবে জেলা পুলিশ সুপার বলে জানিয়েছে পাটগ্রাম থানার ওসি ওমর ফারুক।


  
পাটগ্রাম পৌর শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল, পাটগ্রাম পৌর মেয়র রাশেদুল ইসলাম সুইট, সম্মিলিত নাগরিক সমাজের আহবায়ক শমসের আলী, অধ্যক্ষ (অবসরপ্রাপ্ত) শহিদুল্লাহ প্রধান, পাটগ্রাম বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ছায়েদুজ্জামান সায়েদ, বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি ইবাদুজ্জামান বাপি, পাটগ্রাম পূর্ব বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিনুর রহমান আজিমসহ অনেকে। 

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌরসভার নিউ পূর্বপাড়া এলাকার নিজ বাসার ফটকের সামনে ২০ জানুয়ারি রাতে খুন হন পাটগ্রাম মহিলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াজেদ আলী (৬৮)। এ ঘটনায় প্রতিবেশি নাহিদুজ্জামান প্রধান বাবু (২৫) ও অজ্ঞাত আসামিদের উল্লেখ করে পরদিন পাটগ্রাম থানায় নিহতের ছোট ছেলে রিফাত হাসান পাটগ্রাম থানায় হত্যা মামলা দেন। খুন হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

ইত্তেফাক/পিও