বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

৫ সেতুর কাজ শেষ না করেই বিল তুলে নেওয়ার পায়তারা

আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ২১:৫০

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৫টি সেতুর কাজ শেষ না করেই পুরো বিল উত্তোলনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দাবি, এস্টিমেটের চেয়ে বেশি কাজ করা হয়েছে। তাই পুরো বিলের জন্য আবেদন করেছেন।
  
প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রোগ্রাম ফর সাপোর্টিং রুরাল ব্রিজেস প্রকল্পের আওতায় তাড়াশের কুন্দইল সড়কের ৫টি সেতুর গাইড পোস্ট স্থাপন, রঙের কাজ, ব্লক রিসেটিং ও পলিমার প্লাস্টার করার কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএস ওসান এন্টারপ্রাইজ। ৬২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৬১ টাকার প্রাক্কলন প্রস্তুত করা হয় এসব কাজের জন্য। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয় ৫৫ লাখ ২৩ হাজার ৬৫৫ টাকায়। দুই মাসের মতো হলো কাজ করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্টান।


 
সরেজিমনে মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে দেখা যায়, কুন্দইল সড়কের কুন্দইল পয়েন্টের বড় সেতুটির সুলতানের মুদি দোকানের সামনে মাত্র একটি গাইড পোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। ২টি অর্ধেক ভাঙা গাইড পোস্ট ও বেকে যাওয়া গাইড পোস্টগুলো আগের মতোই রয়েছে। ২৬টি গাইড পোস্টে রঙের কাজ করা হয়েছে। কিন্তু সেতুর দুই পাশে গাইড পোস্ট রয়েছে মোট ৫৮টি। সেতুর রেলিংয়ে রঙের কাজ করা হয়েছে। দিঘীসগুনা সেতুটিতে ২০টি গাইড পোস্ট স্থাপন ও রঙের কাজ করা হয়েছে। এই সেতুর একপাশে মাত্র ৪টি গাইড পোস্ট রয়েছে। সেগুলো দিঘীসগুনা বাজারের স্থানীয় দোকানদাররা নিজেদের দোকানের সীমানার মধ্যে নিয়ে রেখেছেন। ঘোল চইড়া সেতুতে ২৮টি গাইড পোস্ট স্থাপন ও রঙের কাজ করা হয়েছে। কলাবাগান পাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন সেতুটিতে ৩১টি গাইড পোস্ট স্থাপন ও রঙের কাজ করা হয়েছে। ঐ সড়কের পশ্চিম ওয়াপদা বাঁধের সেতুটিতে ৫১টি গাইট পোস্টে  ও সেতুর রেলিংয়ে অনুরূপভাবে রঙের কাজ করা হয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি পুরানো গাইড পোস্টে রঙ করা হয়েছে।
   
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রকৌশল অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, কুন্দইল সড়কের ৫টি সেতুর কাজের ব্যয় সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার হবে।

উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী ও প্রোগ্রাম ফর সাপোর্টিং রুরাল ব্রিজেস প্রকল্পের তদারকি কর্মকর্তা রাজিব হোসাইন বলেন, এখনও রঙের কাজ, ব্লক রিসেটিং ও পলিমার প্লাস্টারের মতো ব্যয়বহুল কাজগুলো বাদ রয়ে গেছে। এসব কাজ সম্পূর্ণ করে তারপর পুরো বিল নেওয়ার জন্য ঠিকাদারকে সতর্ক করে একাধিক চিঠি দেওয়া হয়েছে।
 
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএস ওসান এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারী আব্দুস সোবাহান ডাবলু বলেন, কুন্দইল সড়কের ৫টি সেতুর কাজ করা শেষ হয়ে গেছে। বরং প্রকৌশল অধিদপ্তরের এস্টিমেটের চেয়ে বেশি করে কাজ করে দিয়েছেন।
 
উপজেলা প্রকৌশলী ইফতেখার সারোয়ার ধ্রুব দৈনিক ইত্তেফাককে বলেন, ৫টি সেতুর সব কাজ বুঝে পাওয়ার আগে বিলের পুরো টাকা দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। 

ইত্তেফাক/পিও