শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১৮ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বেড়েছে

আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৬:৪৭

ডিসেম্বরে প্রতিদিন ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে গড়ে দুই বিলিয়নে উঠেছে। যা বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ। এরইমধ্যে কোম্পানিটি ব্যয় বৃদ্ধি এবং বিজ্ঞাপন বিক্রয় কমে যাওয়ার কারণে চাপের মধ্যে ছিল। প্রত্যাশার তুলনায় বেশি হওয়া এই প্রবৃদ্ধি কোম্পানিটি নিয়ে নতুন আশার সঞ্চার করতে সাহায্য করেছে। খবর বিবিসির। 

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান মার্ক জাকারবার্গ ২০২৩ সালকে দক্ষতার বছর হিসাবে ঘোষণা করার পর মূল কোম্পানি মেটা-এর শেয়ারের দাম বাজারের মূল বাণিজ্য ঘণ্টা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও পরবর্তীতে ১৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে। তিনি জানান, যে তিনি ব্যয় কমানোর দিকে নজর দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা এখন একটি ভিন্ন পরিবেশে আছি, ‘আমরা মনে করি না যে এটি এভাবে চলতে থাকবে, তবে আমি এটাও মনে করি না যে এটি আগে যেমন ছিল সেই অবস্থায় ফিরে যাবে।’

তিনি ফার্মের মুনাফার দিকে ইঙ্গিত করেন, যা ২০২২ সালে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কমেছে। এর আগে কয়েক বছর ধরে ফার্মটির মুনাফার প্রবৃদ্ধির হার দুই অংকের ঘরেই ছিল।

মেটা, যা ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপেরও মালিক, গত বছর এই কোম্পানিটি একটি বড় পুনর্গঠনের ঘোষণা দিয়েছিল। যার মধ্যে ছিল অফিসের জায়গা কমিয়ে আনা এবং ১১ হাজার চাকরি বা প্রায় ১৩% কর্মী ছাটাই করা ছিল।

ফার্মটি জানায়, এই পদক্ষেপগুলির কারণে গত বছর ৪.৬ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছিল যা এর মুনাফার উপর প্রভাব ফেলায় তা অর্ধেকে নেমে আসে। এরপরও সেই বছর ২৩.২ বিলিয়ন ডলার মুনাফা করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।

 জাকারবার্গ বলেন, ‘২০২২ সাল একটি চ্যালেঞ্জিং বছর ছিল। কিন্তু আমি মনে করি আমরা এর শেষের দিকে ভালো অগ্রগতি করেছি।"
তবে এটি অনেক বিশ্লেষকের প্রত্যাশার চেয়ে ভাল ছিল।

মেটা গত বছর এর বিনিয়োগকারীদের হুশিয়ার করেছিল এবং ইতিহাসে প্রথমবার দৈনিক ফেসবুক ব্যবহারকারীদের হার কমছে বলে পোস্ট করেছিল। একই সাথে ইঙ্গিত করেছিল যে তারা মেটাভার্স নামে পরিচিত ভার্চুয়াল রিয়েলিটির উপর বিনিয়োগে জোর দেবে।

কিন্তু ডিসেম্বরে, প্রতিদিন সাইটে ব্যবহারকারীর সংখ্যা এক বছর আগের তুলনায় ৪% বেড়েছে, এমনকি ইউরোপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডাতেও ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। মেটা বলেছে যে, প্রতিদিন তার সব ধরণের অ্যাপে সক্রিয় লোকের সংখ্যা বছরে ৫% বেড়েছে।

জাকারবার্গ আরও জানায়, কোম্পানিটি তার ভিডিও পণ্যরিল-এর মাধ্যমে অগ্রগতি করছে। এই ফিচারটির ওপর জোর দেয়া হয়েছে কারণ এটির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি টিকটকের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের মুখোমুখি হয়েছে যা বিশেষ করে তরুণ ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করেছে। তাদের সেই প্রচেষ্টা অর্থ দিতে শুরু করেছে এবং বিজ্ঞাপনের ডলার ব্যবহারকারীদের ভিডিওকে ফলো করতে শুরু করেছে।

বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির খরচ কমানো এবং আগামী মাসগুলোতে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বিক্রয়ের পূর্বাভাসকে লুফে নিয়েছে এবং এর কারণে শেয়ারের হস্তান্তর বেড়েছে।

কোম্পানিটি আরও বলেছে যে, তারা নিজেদের শেয়ার কেনার জন্য অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করবে। গত বছর যার দাম কোম্পানির লক্ষ্য নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সন্দেহের কারণে ব্যাপকভাবে পড়ে যায়।

ডিসেম্বর থেকে আগের তিন মাসে, ফার্মটি বলেছে যে, এটির আয় ছিল ৩২.২ বিলিয়ন ডলার যা এর আগের বছরের তুলনায় ৪% কম।

ইত্তেফাক/এফএস/এএএম