শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সততা ও দেশপ্রেম নিয়ে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যেতে হবে: পানিসম্পদ উপমন্ত্রী 

আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২২:২৯

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, প্রতিটি শিক্ষার্থীর মধ্যে দেশ প্রেম ও সততা থাকতে হবে। যাতে তারা শিক্ষিত হয়ে দেশের সেবা করতে পারে। তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ শিক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে। এজন্য শিক্ষার্থীদের আরও বেশি মনযোগী ও সৃজনশীল হতে হবে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে ক্রীড়াঙ্গনে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ফুটবল, দাবা, শুটিং, সাঁতার, গলফ ও আর্চারিতে দেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনেও বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা সাফল্যের সাক্ষর রাখছে। 

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের ডিআরএমসি গেমস এন্ড স্পোর্টস ক্লাবের  আয়োজনে ২য় ডিআরএমসি-বে ন্যাশনাল স্পোর্টস সিমুলেকরা-২০২৩ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়মিতভাবে ক্রীড়া পৃষ্ঠপোষকতা, খেলোয়াড়, ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকদের উৎসাহিত করার মাধ্যমে ক্রীড়াচর্চাকে আরও সচল করার পাশাপাশি খেলার টেকসই মানোন্নয়নের জন্য অর্থবহ উদ্যোগ নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে বিশেষ অবদান রাখছেন। বর্তমান যুগ প্রতিযোগিতার যুগ। তাই শিক্ষার্থীদেরকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে টিকে থাকতে হবে। সে অনুযায়ী পড়াশোনা করতে হবে। এ প্রতিযোগিতা শুধু দেশের ভেতরেই নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে দেশ। আগামীতে আজকের এই তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বেই সমৃদ্ধিশালী স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে উপনীত হবে আর সে সময় রাষ্ট্র পরিচালনায় থাকবে আজকের তরুণরা। উন্নত বাংলাদেশের উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়তে হবে। 

উপমন্ত্রী বলেন, উপযুক্ত শিক্ষাই পারে সামাজিক, মানসিক ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে। জাতির পিতা শিক্ষাকে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন, জাতির পিতা শিক্ষাকে অবৈতনিক ঘোষণা করেছিলেন। সংবিধানে শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। শিক্ষার মাধ্যমে জাতিকে তিনি উন্নত করতে চেয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু এবং দেশের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার একটি খাঁটি ক্রীড়ানুরাগী পরিবার।বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই দেশের ক্রীড়াচর্চায় গৃহীত উদ্যোগে এই খাত হয়েছে বেগবান। নতুন নতুন আধুনিক ক্রীড়াকাঠামো নির্মাণ, সবার খেলার সুযোগ সৃষ্টির জন্য উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের পাশাপাশি বিদেশে বিভিন্ন খেলার আন্তর্জাতিক গেমস টুর্নামেন্ট ও চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণের সবচেয়ে বেশি সুযোগ মিলেছে। খেলোয়াড়দের স্বাবলম্বী এবং তাঁদের আর্থিক নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন সার্ভিস দল, সরকারি প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কয়েক হাজার নারী ও পুরুষ ক্রীড়াবিদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।

চারদিনব্যাপী এই উৎসবে সমগ্র দেশের ৬৪টি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফুটবল, বাস্কেটবল, টেবিল টেনিস, দাবা, ব্যাডমিন্টন, আর্ম রেসলিং, অলিম্পিয়াড, টিম কুইজ ও ফ্রি স্টাইল প্রভৃতি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।

ইত্তেফাক/এমএএম