শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১৭ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

নানা আপত্তির পরও আটলান্টিকে যুদ্ধজাহাজ ডুবালো ব্রাজিল

আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৩:১০

সার্ভিস থেকে প্রত্যাহার করা বিমান বহনকারী (এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার) একটি যুদ্ধজাহাজ আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবিয়ে দিয়েছে ব্রাজিল। পরিবেশবাদীদের নানা আপত্তি সত্ত্বেও শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) জাহাজটি ডুবিয়ে দেওয়া হয়। ফরাসি জাহাজটিতে বিষাক্ত রাসায়নিক সরঞ্জাম থাকায় পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো না ডুবানোর দাবি করে আসছিল। খবর আলজাজিরা।

এক বিবৃতিতে ব্রাজিলের নৌবাহিনী বলছে, শুক্রবার জাহাজটিকে ব্রাজিলের উপকূল থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দূরে আটলান্টিক মহাসাগরের আনুমানিক ৫ হাজার মিটার গভীরে ডুবিয়ে দেওয়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ছয় দশকের পুরনো সাও পাওলো জাহাজটিকে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ব্রাজিল কর্তৃপক্ষ জাহাজটিকে ভাঙ্গার জন্য বন্দর খুঁজছিল। কিন্তু কোন বন্দর কর্তৃপক্ষই ওই জাহাজ ভাঙতে রাজি না হওয়ায় আটলান্টিক মহাসাগরে জাহাজটিকে ডুবিয়ে দেয় ব্রাজিল।

যদিও দেশটির প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা জাহাজটিকে ‘নিরাপদ এলাকায়’ ডুবিয়ে দিয়েছে। কিন্তু পরিবেশবাদীরা এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করে।

তারা বলেন, এয়ারক্রাফট জাহাজে প্রচুর অ্যাসবেস্টস, ভারী ধাতু ও অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থ রয়েছে, যা পানিতে মিশে সামুদ্রিক খাদ্যশৃঙ্খল দূষিত করতে পারে।

জানা গেছে, রণতরীটি ১৯৫০ সালে ফ্রান্সে তৈরি করা হয়েছিল। ফরাসি নৌ-বাহিনী দীর্ঘ ৩৭ বছর ‘ফো’ নামে এটি ব্যবহার করে।

১৯৬০ সালে ফ্রান্সের প্রথম পরমাণু পরীক্ষায় ব্যবহৃত হয় যুদ্ধজাহাজটি। এছাড়া ১৯৭০ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এটি আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং যুগোস্লাভিয়ায় মোতায়েন করা হয়। ব্রাজিল ২০০০ সালে ফ্রান্সের কাছ থেকে ১২ মিলিয়ন ডলার দিয়ে জাহাজটি কিনে নেয়। কিন্তু মাত্র ৫ বছরের মধ্যে এটিতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

২০২২ সালে ব্রাজিল সরকার এই যুদ্ধজাহাজটি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়। এ নিয়ে তুরস্কের একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিও করে তারা। কিন্তু পরিবেশের ক্ষতির কথা চিন্তা করে তুরস্কের সরকার এতে বাধা দেয়। এরপর এটি আবার ব্রাজিলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।

ইত্তেফাক/পিএস/এসকে