শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

চেলসির টাকা ঢালা দেখে বিস্মিত ক্লপ, গার্দিওলা

আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৫:৩৪

জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতে চেলসির বিপুল পরিমান অর্থলগ্নি দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন প্রিমিয়ার লিগের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল লিভারপুর ও ম্যানচেস্টার সিটির কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ ও পেপ গার্দিওলা।

এবারের মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন দলবদলের বাজার উন্মুক্ত হবার পর এ পর্যন্ত নতুন চুক্তি বাবদ ৬০০ মিলিয়ন ইউরোর বেশি ব্যয় করেছে চেলসি। জানুয়ারির শীতকালীন দলবদলের শেষ দিনে প্রিমিয়ার লিগের রেকর্ড ১২০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন তরুণ স্ট্রাইকার এনজো ফার্নান্দেজকে বেনফিকা থেকে দলে ভিড়িয়েছে ব্লুজরা। মাসজুড়ে আরো সাতজন খেলোয়াড়কে তারা দলে নিয়েছে।

প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দলবদলে এত বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয় প্রসঙ্গে লিভারপুল বস ক্লপ বলেছেন, ‘আমার আইনজীবি ছাড়া এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারবো না। ব্যবসার এই অংশটি আমি আসলে বুঝতে পারিনা। কিন্তু দলবদলের দুই বাজারে অর্থের পরিমাণটা অনেক বড়, এটি বুঝতে পারছি। যে খেলোয়াড়রা চেলসি দলভুক্ত করেছে তারা সবাই ভাল, সে কারণে চেলসিকে অভিনন্দন। আমি জানিনা এটা কিভাবে সম্ভব হলো। কিভাবে কাজটি হয়েছে তা ব্যাখ্যা দেবার আমি কেউ নই।’

প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটিরও ট্রান্সফার মার্কেটে বিশাল অর্থ ব্যয় করার কুখ্যাতি আছে। কিন্তু জানুয়ারিতে তারা একটিমাত্র চুক্তি করেছে। টেবিল টপার আর্সেনালের থেকে পাঁচ পয়েন্ট পিছিয়ে থেকেও আর্জেন্টাইন ক্লাব ভেলেজ সার্সফিল্ড থেকে তারা শুধুমাত্র ম্যাক্সিমো পেরোনকে দলে ভিড়িয়েছে।

সিটি বস গার্দিওলা অবশ্য চেলসির দলবদল নিয়ে মোটেই চিন্তিত নন। তিনি সবসময়ই নিজের ক্লাবের অর্জন নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে পছন্দ করেন। এ সম্পর্কে গার্দিওলা বলেছেন, ‘এটা মোটেই আমার কাজ নয়। তারপরও বিষয়টা বিস্ময়কর। আমি কখনো অন্য ক্লাব নিয়ে মতামত জানাই না। তবে আমি অবাক হয়েছি। কারণ চেলসি কোনো রাষ্ট্রায়ত্ত ক্লাব নয়। গত পাঁচ বছরে আমরা ১১টি ট্রফি জিতেছি। প্রিমিয়ার লিগে সামগ্রিকভাবে খরচের তালিকায় আমরা পাঁচে বা ছয়ে আছি। এটা নিয়ে আমি বেশ উদ্বিগ্ন। শুধু প্রিমিয়ার লিগে নয় ইউরোপের অন্য দেশগুলোতেও প্রচুর খরচ করা হয়। এখনকার দলবদলের বাজারটাই এ রকম।’

ইত্তেফাক/এসএস