শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

২৪ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন

ঘরে ঢুকে সাবেক ইউপি সদস্যকে ‘হত্যা’ করেন ছেলের বন্ধু

আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:৪৪

বগুড়ার শিবগঞ্জে নিজ ঘরে সাবেক ইউপি সদস্য নারগিস আরা বেগমের গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হত্যারহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুই যুবককে আটক করা হয়েছে। দুজনেই নিহতের ছেলের বন্ধু। পুলিশের দাবি, ছেলের সঙ্গে বিরোধের জেরে মাকে হত্যা করেছে দুই যুবক।

আটককৃত দু'জন হলেন, শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের মধ্যপাড়ার মুন্না মিয়া ও পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা মো. খালেদ হাসান। তাদের দু'জনের বয়স ২২ বছর।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বগুড়া জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয় জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ।

এর আগে, গতকাল রোববার বিকেলে রায়নগর মধ্যপাড়ায় নিজ বাড়ি থেকে সাবেক নারী ইউপি সদস্য নারগিসের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, রোববার বিকেলে নিজ বাড়ির শয়নকক্ষ থেকে নারগিছ আরা বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ তদন্তে নামে। নারগিছ গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রায়নগর মধ্যপাড়ার নিজ বাড়িতে আসেন। এর কিছুক্ষণ পরেই মুন্না ওই বাড়িতে প্রবেশ করে নারগিসকে ধারালো ছুরি দিয়ে গলায়, পিঠে ও মাথায় কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যান। ওই সময় বাড়ির সামনে পাহারায় ছিলেন খালেদ।

তদন্তে নেমে স্থানীয়দের মাধ্যমে খালেদ ও মুন্নাকে ওই বাড়ির সামনে ঘোরাফেরার বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ। এরই সূত্র ধরে গত মধ্যরাতে খালেদকে বাসা থেকে আটক করা হয়। তার তথ্যের ভিত্তিতে মুন্নাকে রাত প্রায় ৩টার দিকে বগুড়া সদরের মাটিডালী এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত এসপি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুন্না হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এ কাজে খালেদ তাকে সাহায্য করে। তাদের দেওয়া তথ্যে নিহতের বাড়ির পাশের পুকুরপাড়ের ঝোপ থেকে রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ বলেন, গ্রেফতার আসামিরা নারগিসের ছেলে আজিজুলের বন্ধু। তারা একসঙ্গে মাদক সেবন করে বেড়াতেন। এর মধ্যে নারগিসের ছেলে আজিজুল বর্তমানে বগুড়া শহরের একটি নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন আছেন। আমাদের প্রাথমিক ধারনা, ছেলে আজিজুলের সঙ্গে মাদক বা অন্য কোনো বিরোধ নিয়ে নারগিসকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে বাদী হয়ে মামলা করবেন।

ইত্তেফাক/এসকে