শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ভূমিকম্পের বর্ণনা দিলেন প্রাণে বেঁচে আসা তুরস্কের নাগরিক

আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৮:০০

স্থানীয় সময় আজ ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়া সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এই ভূমিকম্পের প্রত্যক্ষদর্শী তুরস্কের মালত্য শহরের বাসিন্দা ২৫ বছর বয়সী ওজগুল কনাকচি। ভূমিকম্পে অক্ষত আছেন ওজগুল। ভূমিকম্পের সময় তিনি ও তার ভাই ঘুমাচ্ছিলেন। 

রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। পরে আরও ভূমিকম্প (আফটার শক) হয়। ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় পাঁচ শতাধিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। প্রতি মিনিটেই বাড়ছে নিহতের সংখ্যা।

চোখের সামনে ভবনের জানালাগুলো সশব্দে চূর্ণবিচূর্ণ হতে দেখেছেন ওজগুল। 

ওজগুল বলেন, ‘আমি ল্যাম্পের (বাতি) দিকে তাকালাম। মনে হচ্ছিল ল্যাম্পটি ভেঙে যাচ্ছে। আমরা আমাদের তিন বছর বয়সী ভাতিজাকে সঙ্গে নিয়ে লাফিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।’

তিনি বলেন, ‘আমরা একে অপরের দিকে তাকিয়ে বলি, তুমি কি কাঁপছ? আমাদের চোখের সামনে আফটার শকে একটি ভবনের জানালাগুলো ভেঙে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়।’

ভূমিকম্পে ওজগুলদের ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের আশপাশের পাঁচটি ভবন ধসে গেছে। বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে এখন খুব ঠাণ্ডা রয়েছে। তুষারপাত হচ্ছে। এটা আরেক উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। সব লোক এখন রাস্তায় অবস্থান করছেন।

ভূমিকম্পের ঘটনায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে তুরস্ক। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া লোকজনকে উদ্ধারে জোর তৎপরতা চলছে।

ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে বহু সরকারি ভবন ধসে পড়েছে। ভেতরে অনেক লোক আটকা পড়ে আছে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসিপ তায়েপ এরদোয়ান সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই দুর্যোগ কাটিয়ে ওঠার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।

উল্লেখ্য, তুরস্ক পৃথিবীর অন্যতম ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা। দেশটিতে ১৯৯৯ সালে শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে ১৭ হাজার লোক নিহত হয়।

ইত্তেফাক/এএইচপি